প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
মালদহের বৈষ্ণবনগরে এদিন পোস্টমর্টেম ছাড়াই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে চরবাপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক অমিয় সাহার (২৮)। বাকি চারটি মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টি অবশ্য সম্পন্ন হয় পোস্টমর্টেমের পরই। অমিয়বাবুর বাবা প্রদীপ সাহার দাবি, কুম্ভমেলায় হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের পর বুকে ব্যথা হচ্ছিল অমিয়র। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তা সত্ত্বেও কীভাবে একে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ বলল যোগী প্রশাসন? পোস্টমর্টেম ছাড়াই তাঁর অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন করা হল কেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
শুধুমাত্র ‘মৃতদেহ বুঝে পেলাম’—কুম্ভের হাসপাতালের দেওয়া এহেন চিরকুটের ভিত্তিতে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয় কলকাতার গল্ফগ্রিন অশ্বিনীনগরের বৃদ্ধা বাসন্তী পোদ্দার ও পশ্চিম মেদিনীপুরের গোদাপিয়াশালের বাসিন্দা ঊর্মিলা ভুইয়াঁর দেহ। এখানে পোস্টমর্টেমের পর তাঁদের অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হয়েছে। কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন এ রাজ্যের আর এক বাসিন্দা বিনোদ রুইদাস (৪১)। জামুড়িয়ার কেন্দা ফাঁড়ি এলাকায় তাঁর বাড়ি। এদিন সেখানে মৃতদেহ নিয়ে আসেন উত্তরপ্রদেশ পুলিসের এক হেড কনস্টেবল। স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভের জেরে তাঁকে ফাঁড়িতে আশ্রয় নিতে হয়। মৃত্যু সংক্রান্ত কোনও সার্টিফিকেট উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিনোদের শ্যালক বিষ্ণু রুইদাস। তাঁর কথায়, ৫০-৬০টা লাশের স্তূপ থেকে খুঁজে বের করতে হয়েছে জামাইবাবুর নিথর দেহ। ওরা (যোগী প্রশাসন) মৃত্যু নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে।
পূর্ণকুম্ভে শাহিস্নানে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাউরি পাড়ার গায়ত্রী দে’র (৫২)। ঘটনার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর পুত্র প্রতাপ দে বৃহস্পতিবার রামপুরহাট থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে কুম্ভ বিপর্যয়ের এক ঝাঁক মৃতদেহের ছবির মধ্যে গায়ত্রীদেবীকে চিহ্নিত করেন স্থানীয় এক বাসিন্দা ঋত্বিক ধীবর। পরিবারের লোকজনও তাঁকে শনাক্ত করেছেন। মৃতদেহ রামপুরহাটে ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।