প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
কাশ্মীরে গত ২১ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল চিল্লাই কালান। এসময় গোটা কাশ্মীর যেন একটা বরফে ঢাকা উপত্যকা। ডাল থেকে গুলমার্গ—শুধুই বরফ। মাঝেমধ্যে ভারী তুষারপাত। এবার ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে রাজধানী শহর শ্রীনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চিল্লাই কালান শুরুর দিনই তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল মাইনাস সাড়ে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করতে এসময় নানা পন্থা অবলম্বন করেন কাশ্মীরের বাসিন্দারা। কাঙড়ি (গরম কয়লা ভর্তি মাটির পাত্র) এবং বাড়িতে বা কাজের জায়গায় পরিবেশ উষ্ণ রাখতে বুখারিস (কাঠ জ্বালানোর বড় জায়গা) ব্যবহার করেন তাঁরা। এই সময় শুষ্ক সব্জি ও আমিষের বিভিন্ন পদ তাঁদের খাদ্য তালিকায় জায়গা করে নেয়। ইতিহাসবিদ জারিফ আহমেদ বলেন, টাটকা সব্জির অভাবে চিল্লাই কালানে মূলত শুঁটকি মাছ ও সব্জি বেশি পছন্দ করেন উপত্যকাবাসী। তবে চলতি জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে উষ্ণ ছিল উপত্যকার আবহাওয়া। স্বাভাবিকের থেকে ৫ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল তাপমাত্রা। দিনের বেলায় গড় তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি। সেটি স্বাভাবিকের থেকে ৮ ডিগ্রি বেশি। শ্রীনগরের আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর মুক্তার আহমেদ বলেন, পরিষ্কার আকাশ এর জন্য দায়ী। পাশাপাশি শীতের মরশুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় উপতক্যায় অকাল বসন্ত বিরাজ করছে।
চিল্লাই কালান শেষ হওয়ার পরের ২০ দিনকে ‘চিল্লাই খুর্দ’ বলা হয়। এই সময় শেষ হওয়ার পরের ১০ দিনকে বলা হয় ‘চিল্লাই বাচ্চা’।