প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
দাবি করা হয় কুম্ভের ঘটনায় সরকারকে বিবৃতি দিতে হবে। উল্লেখযোগ্য দৃশ্য হল, রাষ্ট্রপতির ভাষণ শুনতে প্রথম সারিতে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর পিছনেই জায়গা ছিল সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অখিলেশ যাদবের। কিন্তু কুম্ভের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবিতে তাঁকে দেখা যাক, চাননি অখিলেশ। তাই উঠে চলে যান। সুদীপবাবুকে ফিসফিস করে বলে যান, কুম্ভের পর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার একসঙ্গে ছবি দেখলে উত্তরপ্রদেশে আমার রাজনৈতিক কেরিয়ারের ক্ষতি হবে। যদিও এদিন সংসদ টিভিতে বিরোধীদের তেমন ভালো করে দেখানোই হয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ব্যাপারে তিনি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন।
স্রেফ সভা মধ্যেই নয়। অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার ডাকা বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকেও কুম্ভ ইস্যুতে সরব হয় সমাজবাদী পার্টি। সমর্থন করে তৃণমূল সহ সব বিজেপি বিরোধী দল। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এ ব্যাপারে কোনও আশ্বাস দেননি। উল্টে বিরোধীদের দাবি এড়াতে সামান্য সময় পরেই তিনি বলেন, তাহলে মিটিং শেষ। আর তো কিছু বলার নেই। কিন্তু বিরোধীরা কুম্ভ ইস্যুতে একাট্টা হয়ে চেপে ধরেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ওম বিড়লা বলেন, ঠিক আছে ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি দিন দুটি তো ফাঁকা রয়েছে। সরকারের সঙ্গে কথা বলে কুম্ভ ইস্যুতে আলোচনার বিষয়টি ঠিক করা যাবে।
বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী ৩-৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপনের চর্চা হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, তার ঠিক পরেরদিনই (৫ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি বিধানসভার ভোট। বাজেট নিয়ে আলোচনা হবে ৬-৭ এবং ১০ ফেব্রুয়ারি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জবাব দেবেন ১১ তারিখ। ফলে এবারের বাজেট অধিবেশনও যে মসৃণ হবে না, তা বলাই বাহুল্য। বাংলার বকেয়া মেটান, রাজ্যের নাম পরিবর্তনে বিধানসভা প্রস্তাব পাশ করে কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিলেও কেন তা ঠান্ডাঘরে ফেলে রেখেছে মোদি সরকার? এই প্রশ্নেও সংসদে সরকারকে তৃণমূল চেপে ধরবে বলেই ঠিক করেছে।