প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
২০২২ সালের ১৬ মার্চ। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ভেলোরের কাটপাদি এলাকায় এক সহকর্মীর সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। সেই সময় অটোয় পাঁচজন আসে। তারা মহিলা ও তাঁর সহকর্মীকে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে অটোয় তোলে। তারপরই পালার নদীর তীরে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়। সেসময় তাঁর সঙ্গীর গলায় ছুরি ঠেকিয়ে আটকে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। গণধর্ষণের পর তাঁদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন, সোনার চেন, এটিএম কার্ড। পরে সেই এটিএম কার্ড থেকে ৪০ হাজার টাকাও তুলে নেয় দুষ্কৃতীরা। পরে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা চিকিৎসক।
অন্য একটি মামলায় সেই ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। জেরায় তারা গণধর্ষণের কথা স্বীকার করে। ধৃত তিনজনের সূত্র ধরেই বাকি দু’জনের সন্ধান পায় পুলিস। জানা যায়, ধৃতদের মধ্যে পার্থিবান একজন অটেচালক। ঘটনার দিন তার অটোতেই ঠিকা শ্রমিক মণিকন্দন ও তার দুই বন্ধু ভরত, সন্তোষ এবং ওই নাবালক আসছিল। রাস্তায় মহিলা চিকিৎসক ও তাঁর বন্ধুকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তখনই তারা অপহরণের ফন্দি আঁটে।
বৃহস্পতিবার পার্থিবান, মণিকন্দন, ভরত এবং সন্তোষকে ২০ বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেন ভেলোরের ফার্স্ট ট্র্যাক মহিলা কোর্টের বিচারক এস মাগেশ্বরী বানু রেখা। এছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।