দিব্যেন্দু বিশ্বাস, নয়াদিল্লি: গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে নতুন রেল লাইন চালু কম হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম আট মাসে সারা দেশে ২ হাজার ২৮২ কিলোমিটার নতুন রেল লাইন চালু হয়েছিল। কিন্তু ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের উল্লিখিত সময়সীমায় তা কমে হয়েছে ২ হাজার ৩১ কিলোমিটার। শুক্রবার প্রকাশিত আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টেই এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। অথচ ইতিপূর্বে একাধিকবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দাবি করেছেন যে, প্রতি বছর গড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার রেল লাইন প্রস্তুত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেক্ষেত্রে আড়াই হাজার কিলোমিটার নতুন রেল লাইনও চালু না হওয়ার যে পরিসংখ্যান উঠে এসেছে, সেটা তাহলে কীসের নিরিখে? বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করেনি রেল বোর্ড। তবে মন্ত্রক সূত্রে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, রেলমন্ত্রীর ঘোষণা নতুন রেল লাইন, ডাবলিং, ট্রিপলিং, এমনকী গেজ পরিবর্তনকে ঘিরে করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র নতুন রেল লাইনের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে। অর্থাৎ, রেলমন্ত্রক এবং আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট - দু’টোর তথ্যে কোনও পরস্পর বিরোধিতা নেই।
তবে রেলের ‘ওয়াগন’ এবং ‘লোকোমোটিভ’ তৈরির ক্ষেত্রে রেলের ক্রম উন্নতির ছবিই ধরা পড়েছে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে। ওয়াগন তৈরি ২২ হাজার ৪২ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৬ হাজার ১৪৮। লোকোমোটিভ উৎপাদন ৯৬৮ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ হাজার ৪২। সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রেল যাত্রীদের সুবিধার্থে একাধিক পদক্ষেপ করেছে মন্ত্রক। ৯৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই ই-টিকিট বাতিল হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শর্তসাপেক্ষে রিফান্ডের টাকা পেয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট রেল যাত্রীরা। বৃদ্ধি পেয়েছে রেলের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের হারও। চলতি আর্থিক বছরের গোড়ায় শুধুমাত্র অসংরক্ষিত ক্ষেত্রে রেলের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের হার ছিল ২৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ শতাংশ। একইসঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে রেলের যাত্রী পরিবহণের হারও।