মুম্বই: ‘ও ভয়ঙ্কর, হিংস্র। নৃশংসভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে সইফের উপর। এলোপাথাড়িভাবে ছুরি চালাচ্ছিল’, বুধবার গভীর রাতে সইফ আলি খানের উপর হামলার বর্ণনা। দিচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী করিনা কাপুর খান। উদ্বিগ্ন, চিন্তিত কণ্ঠস্বর। করিনা জানান, জীবনের তোয়াক্কা করেননি সইফ। ছোট ছেলে জাহাঙ্গিরের ঘরে ঢুকে পড়েছিল ওই দুষ্কৃতী। আক্রমণ করেছিল একজন মহিলা পরিচারকের উপর। তাঁকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা। লক্ষ্যে বাধা আসায় আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ওই দুষ্কৃতী। ছুরি চালায় সইফের উপর। তাঁর সাদা কুর্তা লাল হয়ে উঠেছিল। তাও ছাড়েননি সইফ। তাঁর সজাগ হওয়ার জন্যই পাতৌদি হাউস থেকে চুরি যায়নি কিছুই। করিনা বলেন, ‘একটি জিনিসেও হাত দিতে পারেনি সে।’ হামলার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছন করিনার দিদি করিশ্মা কাপুর। বোন ও জাহাঙ্গিরকে সঙ্গে নিয়ে যান নিজের বাড়িতে। রাত থেকেই তৈমুর ছিল বাবার সঙ্গে। অটোয় চেপে লীলাবতী হাসপাতালে যান সইফ। সঙ্গে ছিল খুদে তৈমুর। ধীরে ধীরে আতঙ্কের রেশ কাটিয়ে উঠছে সইফের পরিবার। সুস্থতার পথে এগচ্ছেন সইফও। জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন অভিনেতা। যদিও সে সম্পর্কে এখনই নিশ্চিত কিছু জানাননি চিকিৎসকরা।
এদিকে, তদন্তে নেমে পুলিস সইফ-করিনার বাসভবনে গুরুতর নিরাপত্তা গাফিলতি দেখেছে। ঢোকার মুখে বা ওই বাসভবনের ভিতরে কোনও ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিল না। পর্যাপ্ত নজরদারি ক্যামেরাও সেখানে নেই। এমনকী কোনও রেজিস্টরৈ লগ-বুকও নেই।