আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলের এক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত ‘আরটিআই’ আইন। গণতান্ত্রিক পরিসরকে আরও উন্মুক্ত করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। কিন্তু গত ১০ বছরে সেই খোলা দরজা ক্রমেই বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়াস শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। ২০০৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ৬৮ জন আরটিআই অ্যাক্টিভিস্টকে রহস্যজনকভাবে হত্যা করা হয়েছে। ছ’জন আত্মহত্যা করেছে কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই। এই আবহেই ২০২৫ সালে নয়া উদ্বেগ, ওটিপি ভায়া ইমেল। অবশ্য কেন্দ্রের বক্তব্য, প্রশ্নকর্তার ব্যক্তিগত সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখার লক্ষ্যেই এই নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা।
যদিও ২৪ ঘণ্টা পরও ওটিপি পাওয়া যায়নি এরকমও উদাহরণ হয়েছে। কংগ্রেস থেকে এনসিপি বিভিন্ন বিরোধী দলের প্রশ্ন, এরপর কি পঙ্গু করে দেওয়া হবে আরটিআইকে? কারণ সরকারি সূত্রে খবর, জাতীয় ইনফর্মেশন কমিশনে একঝাঁক পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি। হাজার হাজার আবেদনের জবাব দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না কর্মী ও অফিসারের অভাবে। এস রাজকুমার, মনোরঞ্জন রায়, শ্রীধর রাওদের মতো আরটিআই অ্যাক্টিভিস্টরা তোপ দেগেছেন যে, বিগত দেড়-দু’দশকে এরকম প্রতিবন্ধকতার শিকার কখনও হতে হয়নি। এমনকী সম্প্রতি এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে খোদ সুপ্রিম কোর্টও।
আগে তথ্য জানার অধিকার আইন (২০০৫) মোতাবেক নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটটিতে আরটিআই আবেদন নম্বর এবং একটি কোড দিতে হতো। এই ব্যবস্থার সঙ্গেই যুক্ত করা হয়েছে ওটিপি। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে প্রবল শোরগোল শুরু হতেই তড়িঘড়ি বিবৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপিটি)। তাদের দাবি, কণ্ঠরোধ করার প্রশ্নই নেই। হয়তো বহু আবেদনকারী একই সময়ে অনলাইনে লগ ইন করছেন, সেই কারণে ওটিপি পৌঁছতে দেরি হচ্ছে! তারা আশ্বাস দিলেও সমাধান হচ্ছে না এখনও।