আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চালু নিয়ম অনুযায়ী সিসি না দেখে পুরসভা জল, নিকাশির স্থায়ী সংযোগ দেয় না। বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়ার কথা নয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাড়ি বা ফ্ল্যাট নির্মাণের সময় অস্থায়ীভাবে যে জল, নিকাশি কিংবা বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয়, কাজ শেষের পরেও বহু ক্ষেত্রে সেই সংযোগগুলিই থেকে যায়, যা পুরোপুরি বেআইনি। আবার অনেক সময় দোতলা কিংবা তিনতলা বাড়ির অনুমোদন নেওয়ার পর অবৈধভাবে বাড়তি তল (ফ্লোর) নির্মাণ করা হয়। সিসির আবেদন করা হয়েছে, এই দোহাই দিয়ে প্রোমোটাররা সেই ফ্ল্যাট বিক্রিও করে দেন। পুরনো অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেই ঠিকানায় জল, নিকাশি, বিদ্যুতের কানেকশনও মিলে যায়, যা সংশ্লিষ্ট নির্মাণের বেআইনি অংশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দারাও না জেনেশুনে ভোগ করেন। তাঁরা মনে করেন, পরে সিসি পাওয়া যাবে। কিন্তু আদপে সেই নির্মাণ বেআইনি হওয়ায় ফ্ল্যাটের সিসি মেলে না। পরে অভিযোগ উঠলে কারচুপি সামনে আসে। আবার বিল্ডিংয়ের আইনি অংশের অনুমোদন ও সিসি দেখিয়ে বেআইনি অংশের ফ্ল্যাটের জন্যও গৃহঋণ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়, বাকিগুলির সিসির জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
এই ধরনের আইনি ফোঁকফোকর ঢেকে দিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। গত বছর কলকাতার গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ একটি বেআইনি বহুতল ভেঙে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। তারপর কলকাতা হাইকোর্টেও অবৈধ নির্মাণ নিয়ে একাধিক মামলা হয়। সেখানেও বেআইনি নির্মাণস্থলে জল, নিকাশি, বিদ্যুতের সংযোগ পাওয়া কিংবা লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা চালানোর মতো একাধিক ঘটনা দেখে তাজ্জব হয়েছিলেন বিচারপতি। সম্প্রতি এলাহাবাদ হাইকোর্টে বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত একটি মামলা হয়, যা পরে সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। সেই মামলাতেই সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়। কলকাতার পুরসভার আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এবার এই রায়ের জোরে বেআইনি নির্মাণে প্রয়োজনে জল, নিকাশির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া সহজ হবে।