আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
যদিও ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, এক মুম্বই-আমেদাবাদ বুলেট ট্রেন নিয়েই রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে রেলমন্ত্রককে। ক্রমাগত পিছিয়ে যাচ্ছে এটি চালুর দিনক্ষণ। আদৌ ২০২৬ সালে অংশবিশেষে দেশের প্রথম হাইস্পিড ট্রেন চালানো যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরাই। এই পরিস্থিতিতে নতুন বুলেট ট্রেন করিডরের ঘোষণা কি কেন্দ্রের মোদি সরকারের শুধুই চমক হতে চলেছে? বাজেট ঘোষণা নিয়ে অবশ্য স্বাভাবিক কারণেই মুখে কুলুপ এঁটেছে রেল বোর্ড। হাওড়া-বারাণসী ছাড়াও অন্য কোন তিনটি রুটে এবারের বাজেটে বুলেট ট্রেনের ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র? সরকারি সূত্রের খবর, অন্য তিনটি রুট হল দিল্লি-বারাণসী, দিল্লি-অমৃতসর এবং চেন্নাই-মাইসুরু।
প্রাথমিকভাবে উল্লিখিত রুটগুলিতে আদৌ উচ্চ গতির ট্রেন চালানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে ডিপিআর প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাতে প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে যে, ওইসব রুটে প্রয়োজনে উচ্চ গতির ট্রেন চলতেই পারে। অন্তত মাটির প্রকৃতি বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। রেল সূত্রের খবর, এরপরেই হাওড়া-বারাণসী সহ দেশের মোট চারটি রুটে হাইস্পিড রেল করিডরের ঘোষণার তোড়জোর শুরু হয়েছে সরকারের অন্দরে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন মিললে ২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের বাজেট ঘোষণায় তার উল্লেখ থাকবে।
সম্প্রতি ভার্চুয়াল মাধ্যমে দেশের একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিতপূর্ণভাবে জানিয়েছিলেন যে, বর্তমানে দূরপাল্লার ট্রেন সফর অত্যন্ত কম সময়ে করতে চাইছেন রেলযাত্রীরা। আর সেই কারণে দেশের সর্বত্রই হাইস্পিড ট্রেনের চাহিদা তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, সম্ভবত এই ব্যাপারেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।