একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, নিহত ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রশেখর (৩৩) গত ১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার রাতে বিজাপুর শহরের ছাট্টানপাড়া বস্তি এলাকায় অভিযুক্ত ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রশেখরের মালিকানাধীন একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এরপর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত ঠিকাদার। পুলিস তাঁর দুই ভাই দীনেশ ও রীতেশ চন্দ্রশেখর সহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আরও বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হচ্ছে। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা ছাড়াও ‘বস্তার জংশন’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলও চালাতেন মুকেশ। এই চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১ লক্ষ ৫৯ হাজার। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এপ্রিলে বিজাপুরে মাওবাদী হামলায় ২২ নিরাপত্তা রক্ষীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় অপহৃত কোবরা কমান্ডো রাকেশ্বর সিং মানপাস মাওবাদীদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন মুকেশের মধ্যস্থতাতেই। পুলিসের এক আধিকারিক জানান, গত বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন মুকেশ। তাঁর দাদা যুকেশ পরের দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও মুকেশের মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে অভিযুক্ত ঠিকাদারের বাড়িতে নতুন তৈরি ট্যাঙ্কের কাছে পৌঁছয় পুলিস। তার মধ্যে থেকেই উদ্ধার হয় সাংবাদিকের দেহ।
রাস্তা নির্মাণের কাজে অনিয়ম নিয়ে মুকেশ খবর করার পর অভিযুক্ত ঠিকাদারের গতিবিধি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল সরকার। পুলিসকে নিহত সাংবাদিকের দাদা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় ভাইকে মিটিংয়ের নাম করে ডেকে পাঠিয়েছিল ঠিকাদারের ভাই রীতেশ। তারপর থেকেই মুকেশের আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। মুকেশের দেহ উদ্ধারের কথা প্রকাশ্যে আসার পর শনিবার সকালে বিজাপুর শহরের হসপিটাল চকে ৩৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন এলাকার সাংবাদিকরা। ওই ঠিকাদারের সমস্ত সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত এবং তার জন্য মোতায়েন নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। সেই সঙ্গেই বিজাপুরের পুলিস সুপারকে সাসপেন্ড বা বদলির দাবিও তুলেছেন তাঁরা। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাঁই এই ঘটনায় উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।