একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
‘ইন্ডিয়া: দ্য রিলিজিয়াস ফ্রিডম ইস্যুজ’ (ভারত: ধর্মীয় স্বাধীনতা ইস্যু) শীর্ষক এই রিপোর্ট গত সপ্তাহেই প্রকাশ করেছে আমেরিকার কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস। মার্কিন এমপিদের কাছে তা পাঠানো হয়। ধর্মীয় রাজনীতি কীভাবে ভারতে সামাজিক বিভেদ বাড়িয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরা হয়েছে সেই রিপোর্টে। সেইসঙ্গে এও উল্লেখ রয়েছে যে, নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। স্বাভাবিকভাবেই মোদি সরকারের অস্বস্তি বেড়েছে। এর আগেও একাধিক মার্কিন রিপোর্টে মোদির ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতির প্রবল সমালোচনা করা হয়েছে। নয়াদিল্লি বারেবারে সেগুলির বিরোধিতা করেছে। কিন্তু তাতে যে চিঁড়ে ভেজেনি আবারও স্পষ্ট মার্কিন কংগ্রেসের সাম্প্রতিক রিপোর্টে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে মোদির নেতৃত্বে ভারতে সরকার গঠন করে বিজেপি। সেইসঙ্গে বিভিন্ন রাজ্যেও গেরুয়া দলের ক্ষমতার প্রসার ঘটে। এই পর্বে হিন্দুত্ববাদ ও ধর্মীয় বিদ্বেষ আরও প্রকট হয়েছে ভারতে। বিগত কয়েক বছরে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ভারতে সহিষ্ণুতার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারও সংবিধান কর্তৃক সুরক্ষিত। যদিও মাঝেমধ্যে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও বৈষম্যের মতো ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলির হাত শক্ত হয়েছে। এর হাত ধরেই সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সরকারি ও সামাজিক বৈষম্য বেড়েই চলেছে। সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা তো বটেই, মতামত প্রকাশের অধিকার ও শিক্ষাগত গবেষণা ক্ষেত্রে সুযোগ পর্যন্ত খর্ব করা হচ্ছে।
মার্কিন কংগ্রেসনাল রিসার্চের দাবি, বিজেপি তথা মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রভাব পড়েছে ভারতের বিদেশনীতিতেও। বিজেপি নেতাদের সংখ্যালঘু-বিরোধী মন্তব্য মুসলিম দেশগুলির সমালোচনার মুখে পড়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এখন তাদের শরিকদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। ক্ষমতার তৃতীয় দফার মেয়াদে শরিকি নির্ভরতার কারণে বিভিন্ন বিল নিয়ে পিছু হটতে হয়েছে মোদি সরকারকে। যদিও বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভোটের পাঁচ মাস পরেও বিরুদ্ধ-স্বর দমনের কাজ অব্যাহত ভারতে। ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলকে ভারতের বহুদলীয় গণতন্ত্রের জয় বলেই অভিহিত করেছে বিভিন্ন মহল। কিন্তু ভারতে স্বৈরাচারের ঝুঁকি কোনওভাবেই দূর হয়নি বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বহু বিশেষজ্ঞ। আর সেই প্রেক্ষিতেই ভারতের মানবাধিকারের বেহাল নজির আমেরিকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কুপ্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা চরমে।