একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
জিরিবাম জেলা থেকে পাঁচদিন আগেই তিন মহিলা ও তাঁদের সন্তানদের অপহরণ করেছিল কুকি সম্প্রদায়ের লোকজন। মনে করা হচ্ছে, নৃশংসভাবে খুন করে তাঁদের দেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। উদ্ধারের পর দেহ ময়নাতদন্ত করতে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় শুক্রবার রাত থেকেই মণিপুর উপত্যকায় ধীরে ধীরে অস্থিরতা দানা বাঁধতে শুরু করে। শনিবার দেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই মণিপুরের সাতটি জেলাজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি গোটা ইম্ফল পশ্চিম জেলাতেও জারি হয়েছে কার্ফু।
রাজ্য সরকারের এক কর্মচারী লাইসারাম হেরোজিৎ জানান, তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান, শাশুড়ি ও শালিকে অপহরণ করা হয়েছিল। দেহগুলিতে অনেকটাই পচন ধরেছে বলে জানা যাচ্ছে। কাজেই ময়নাতদন্তের পরই মৃতদেহগুলি সম্পূর্ণ শনাক্ত করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে গত ১১ নভেম্বর মণিপুরের জিরিবাম জেলায় সিআরপিএফের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে কুকি সম্প্রদায়ের ১০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাঁদের মৃতদেহ গত সোমবার থেকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে রয়েছে। সেই দেহ ফেরত দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হন শতাধিক মানুষ। সূত্রের খবর, ওই মৃতদেহগুলি প্রথমে মাছিমপুর সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও হাসপাতালের বাইরে মার এবং কুকি সম্প্রদায়ের ছাত্র ও সদস্যরা দেহ হস্তান্তরের দাবিতে সোচ্চার হন। বিক্ষোভ সামাল দিতে না পেরে পুলিস লাঠিচার্জও করে। তার জেরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সামনে বিক্ষুব্ধরা একসময় পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেলও ছুড়তে থাকে। এমনকী লাম্ফেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাপাম রঞ্জনের বাড়ি ঢুকে বিভিন্ন আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দেয়। উত্তেজিত জনতা কেশাম্পায় বিধায়ক সাপাম নিশিকান্ত সিং এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলার সাগোলবন্দের বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের জামাই আর কে ইমোর বাড়ির সামনেও হামলা চালান বলে জানা যাচ্ছে। বিধায়কের বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্রেও বিক্ষুব্ধরা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে পুলিস সূত্রে খবর।