একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
উদ্ভিদের প্রাণ আছে, তারা উত্তেজনায় সাড়া দেয়—এই সত্য যিনি সামনে এনেছিলেন, সেই বিজ্ঞানীর গবেষণার বেশ কিছু জিনিসপত্র এখনও এই বাড়ির মধ্যে কোথাও সাজিয়ে রাখা আছে বলে শোনা যায়। তবে এনিয়ে সংশয়ও রয়েছে স্থানীয় বাঙালিদের মধ্যে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তালাবন্ধ ঘরে বড় একটি সিন্দুক আছে। তার ভিতরে কী আছে, কেউ জানে না। কারণ, সেটি কোনও দিন খোলা হয়নি। কয়েক বছর আগে বাঙালিরা একজোট হয়ে গিরিডির ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরেটের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে। তিনি তাঁদের একটি পুরনো নথি দেখিয়ে জানান, সিন্দুকটি খুলতে পারবেন একমাত্র দেশের রাষ্ট্রপতি। এ পি জে আবদুল কালাম রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সিন্দুক খোলার আর্জি জানিয়ে চিঠি লেখা হয়েছিল। এখানকার পুরনো বাঙালি বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তৎকালীন রাষ্ট্রপতির গিরিডি আসার ব্যাপারে সব কিছু ঠিক হয়ে গেলেও কোনও এক অজানা কারণে শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়। ফলে সিন্দুক নিয়ে রহস্য রয়েই গিয়েছে।
ঝাড়খণ্ড বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক অরিন্দম বসু বলছিলেন, ‘ওই বাড়ির বিপরীতে রাস্তার মোড়ে জগদীশচন্দ্র বসুর মূর্তিটি আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগেই বসানো হয়েছে। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে গিরিডিতে এই মহান বাঙালির স্মৃতি ধরে রাখাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। জগদীশচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত ভবন এরকম অনাদরে পড়ে রয়েছে, এটা যথেষ্ট কষ্টের।’ গিরিডির বাসিন্দা তথা বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য বাবু ঘোষ বললেন, ‘বর্তমানে এই বাড়িটির সংরক্ষণের দায়িত্ব ঝাড়খণ্ড সরকারের। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনকে শীঘ্রই চিঠি দেওয়া হবে।’
এসব কথাবার্তার মধ্যে পাশেই পেল্লাই একটি অফিসের দিকে নজর গেল। জানা গেল, যথেষ্ট পরিপাটি করে সাজানো এই ভবন থেকেই চলে জেলার সমগ্র শিক্ষা অভিযানের যাবতীয় কাজকর্ম। পাশেই ভগ্নস্তূপ হয়ে পড়ে রয়েছে বিজ্ঞানী বসুর বাড়ি। কেন এই বৈপরীত্য? গিরিডির বারগান্ডার বাসিন্দা আবির বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ জবাব, ‘সদিচ্ছার অভাব ছাড়া আর কিছুই নয়।’ - নিজস্ব চিত্র