অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
যোগী আদিত্যনাথের ওই স্লোগানের বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন বিজেপির মহিলা নেত্রী পঙ্কজা মুন্ডে। বিজেপির প্রয়াত নেতা গোপীনাথ মুন্ডের কন্যা স্পষ্টই বলেছিলেন, এই বিভাজনের রাজনীতি আমি করি না। একই মত দিয়েছিলেন, সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে সাংসদ হওয়া অশোক চ্যবন। তিনিও বলেছিলেন, এটা মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতির সঙ্গে খাপ খায় না। শিবসেনার একনাথ সিন্ধে গোষ্ঠীর কোনও নেতা প্রকাশ্যে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে তারাও যে এই নীতি মানছে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। সরকারের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার অবশ্য কোনও রাখঢাক না রেখেই ওই স্লোগানের বিরোধিতা করেছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, এটা উত্তরপ্রদেশ নয়। এটা হল মহারাষ্ট্র। এখানে ওরকম বাটেঙ্গ তো কাটেঙ্গে স্লোগান চলবে না। আমরা বরং মোদিজির সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাসের পক্ষে। বিভাজনের রাজনীতি এই রাজ্যে গ্রহণযোগ্য নয়। মহারাষ্ট্র সকলের।
স্বভাবতই এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে বিজেপি। এমনিতেই দেখা গিয়েছে, গত ১০ বছরের মধ্যে এই প্রথম মোদির স্লোগানকে টপকে বিজেপির নিচুতলায় জনপ্রিয় হয়েছে যোগীর বক্তব্য। যোগীর এই বিভাজন স্লোগান ব্যুমেরাং হতে পারে আন্দাজ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেখছেন তাঁর তৃতীয় ইনিংসে এই প্রথম স্লোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন। এমনকী সঙ্ঘচালকও যোগীর স্লোগানকে মান্যতা দিয়েছেন। এই আবহে বিভাজনের পাল্টা একতার বার্তা দিতে মোদি বলেছেন, ‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়।’ বিজেপি নেতাকর্মীরা পড়েছে মহা বিপদে। কার স্লোগান ব্যবহার করবে তারা? রীতিমতো ধর্মসঙ্কট।
এই পরিস্থিতিতে যোগীর পাশে দাঁড়িয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। অশোক চ্যবন ও পঙ্কজাকে ঠেস দিয়ে তিনি বলেছেন, ওরা এই স্লোগানের মর্মই ধরতে পারেনি। এটা আসলে ঐক্যের বার্তা। আর অজিতকে ঠেস দিয়ে ফড়নবিশ বলেছেন, অজিত পাওয়ার যে দলে আগে ছিলেন, সেই দল হিন্দু বিরোধী। তাঁর পুরনো রীতিনীতি এখনও অভ্যাসে রয়ে গিয়েছে। তবে আগামী দিনে তিনিও উপলব্ধি করবেন যে, যোগীজি সঠিক স্লোগান দিয়েছেন। কিন্তু ভোটের ঠিক মুখে মহাযুতির দ্বন্দ্বের এমন ইস্যু হাতছাড়া করতে চাইছে না মহাবিকাশ আঘাড়ি নেতৃত্ব। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে তো সরাসরি বলেই দিয়েছেন, বিজেপি আগে ঠিক করুক, কোন স্লোগানটা তারা নেবে। যোগীর বিভাজন না, মোদির একতার। শারদ-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন, একটা মত দেব ভাউয়ের (দেবেন্দ্র ফড়নবিশ), অন্যটা পঙ্কজার। কীভাবে ৫০-৫০ হবে।
এমভিএ জোট পরিস্থিতির ফায়দা লুটতে চলেছে অনুমান করেই বিজেপি নেতা কিরিট সোমাইয়া বলেছেন, দু’টির স্লোগানই আদতে এক। যোগীজি বলেছেন, আমদের মধ্যে বিভাজন হলে আমরা বিভাজিত হয়ে যাব। আর মোদিজি বলেছেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে নিরাপদে থাকব। আামরা শুধু ভোট জিহাদ সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করছি।