অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
ঝাড়খণ্ডের বারহাইত বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে ভগ্নাডিহি। এবারও এই কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) চেয়ারম্যান হেমন্ত সোরেন। ২০ নভেম্বর ভোট। তার আগে কেন ‘মগজধোলাই’-এর মরিয়া প্রয়াস? জেএমএম তো বটেই, স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেরও বক্তব্য, ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে আদিবাসী ভোটই প্রধান ফ্যাক্টর। তাই ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ’ ইস্যুতে সুড়সুড়ি দিয়ে আদিবাসী ও নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে জেএমএমের ভোট কাটতে তৎপর গেরুয়া শিবির। জানা গেল, প্রায় প্রত্যেকটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে গিয়ে পথনাটিকার মাধ্যমে এই প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু তাতে কি প্রত্যাশিত ফল পাবে তারা? তেমন আশা যে দূরাশা, স্পষ্ট করে দিলেন সিধো-কানহোদের বংশের যুবক মারথা কিসকু। সিধো-কানহোর স্মৃতিসৌধের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপির এই প্রচার আদিবাসীদের মধ্যে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। কারণ, ২০-২৫ বছর আগেও আদিবাসী এবং নির্দিষ্ট ওই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে খুব সুসম্পর্ক ছিল না। বর্তমানে সেই দূরত্ব অনেক কমে গিয়েছে। বিজেপি বরং বারবার এসব কথা বলে ঝাড়খণ্ডকে পিছিয়ে দিচ্ছে। অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে।’
এই কেন্দ্রের মোট ভোটার ২ লক্ষ ২৩ হাজার। অধিকাংশই আদিবাসী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। ২০১৯ সালে এখান থেকে প্রায় ২৫ হাজার ভোটে জিতেছিলেন হেমন্ত। এবার মার্জিন বেড়ে ৪০ হাজার হবে বলেই দাবি বারহাইতের জেএমএম নেতা বেলা কিসকু, সুনীতা টুডু, সিরাজ আনসারিদের। বিজেপির এমন আগ্রাসী প্রচারের মধ্যেও কীভাবে ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব? তাঁরা জানাচ্ছেন, মোদি সরকার পিএম আবাসের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার পর ‘আবুয়া আবাস’-এর মাধ্যমে গরিব মানুষের বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ‘মাহিয়া সম্মান যোজনা’ চালু হয়েছে। এই এলাকার জন্য পৃথক পাওয়ার গ্রিড তৈরি হয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটও অতীত। এসব সাফল্য মাথায় রেখেই মানুষ ভোট দেবে।
বারহাইতের বিজেপি প্রার্থী গামালিয়েল হেমব্রম অবশ্য হাল ছাড়তে রাজি নন। বিশাল ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ছাত্র-যুবদের ভোট পেতে মরিয়া তিনি। প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দল পাবে নগদ ২০ লক্ষ টাকা! ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন এমন প্রতিযোগিতা করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে জেএমএম। কিন্তু দলের বদলে একটি ক্লাবের নামে এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে বলে কিছু করতেও পারছে না তারা। তবে তাদের দাবি, হেমন্তের দু’-তিনটি সভাই এসব কৌশল পিছনে ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।