সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান তুলে বিপাকে পড়তে হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। রাফাল ইস্যুতে এই মন্তব্য করায় রাহুলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মানহানির মামলা করেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। সেই সময় কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন এই কংগ্রেস নেতা। রাফাল ইস্যুতেই প্রধানমন্ত্রীকে ‘কামান্ডার-ইন-থিফ’ বলে কটাক্ষ করায় রাহুল গান্ধীকে তলব করেছিল মুম্বইয়ের একটি আদালত। পরে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সোনিয়া-পুত্রের বক্তব্য ছিল, ভুলবশত ওই মন্তব্য করে ফেলেছেন। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট রাহুলের বিরুদ্ধে অবমাননার প্রক্রিয়া বন্ধ করলেও তাঁকে সতর্ক করেছিল।
‘মহাত্মা গান্ধীকে খুন করেছিল আরএসএস’
২০১৪ সালে থানের একটি সভায় রাহুল গান্ধীর অভিযোগ ছিল, মহাত্মা গান্ধীর খুনের নেপথ্যে ছিল আরএসএস। এই মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রাজেশ কুন্তে নামে আরএসএসের স্থানীয় এক কর্মী। এই মামলায় ২০১৮ সালে রাহুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জও গঠিত হয়েছিল। এছাড়া গুয়াহাটির একটি আদালত তাঁকে তলব করেছিল। এই ইস্যুতে বিপাকে পড়ে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বক্তব্য ছিল, মহাত্মা গান্ধীর খুনের ঘটনায় তিনি আরএসএসকে কখনই দায়ী করেননি।
‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’
ঝাড়খণ্ডের এক সভায় রাহুলের মন্তব্য ছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র কথা বলছেন। কিন্তু আমরা চারপাশে ‘রেপ ইন ইন্ডিয়া’ দেখতে পাচ্ছি। ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ সহ রাজ্যে রাজ্যে রোজ ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। ধর্ষণ করেছেন এক বিজেপি বিধায়কও (কুলদীপ সেঙ্গার)। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও। কিন্তু কার হাত থেকে মেয়েদের রক্ষা করতে হবে, সেকথা তিনি বলছেন না। মেয়েদির কি বিজেপি বিধায়কদের হাত থেকে রক্ষা করার কথা বলছেন তিনি? এই মন্তব্যের জন্য রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এক সমাজকর্মী।
‘ খুন কি দালালি’
সার্জিকাল স্ট্রাইকের পর রাহুলের মন্তব্য ছিল, সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ‘খুন কি দালালি’ করছেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগের বিরোধী মন্তব্যের অভিযোগে সরব হয় বিজেপি। বিপাকে পড়ে টুইটারে রাহুলের সাফাই ছিল, সার্জিকাল স্ট্রাইককে তিনি সমর্থনই করছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পোস্টারে সেনাবাহিনীর ছবির ব্যবহার বা সেনাকে নিয়ে রাজনৈতিক প্রচারকে তিনি মান্যতা দেন না।