সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারি দপ্তরে পদের অবলুপ্তি দেখতেই অভ্যস্ত দেশবাসী। কোন সরকার কোন দপ্তরে কত পদের অবলুপ্তি ঘটিয়েছে, তানিয়ে প্রায়শই তরজায় মেতে ওঠেন নেতানেত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে ডাকবিভাগে নতুন পদ তৈরি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের দাবি, গত কয়েক দশকে কোনও সরকারি দপ্তরে একসঙ্গেএত নতুন পদ সৃষ্টির ঘটনা ঘটেনি। পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিস্তর প্রশ্ন থাকলেও সরকারি দপ্তর হওয়ায় অনেকের ভরসাও রয়েছে ডাকবিভাগের উপর। ইন্ডিয়ান পোস্টাল পেমেন্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যামে সাধারণ মানুষ নানা পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু অপ্রতুল পরিকাঠামোও কর্মী সঙ্কটের সমস্যা রয়েছে। তাই গ্রামবাসীদের সুবিধা দিতে গেলে নতুন কর্মী নিয়োগ, পরিকাঠামো উন্নয়ন ও নতুন ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস তৈরি করা আবশ্যিক ছিল।
বেশ কিছুদিন আগে ডাকবিভাগ দেশজুড়ে সমীক্ষা চালিয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অর্থমন্ত্রকে জমা দিয়েছিল। গত ২২ মার্চ তাদের অনুমোদন মিলেছে। ডাকবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে,গ্রামের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নিশ্চিত করতে নতুন করে৫ হাজার ৭৪৬টি গ্রামীণ ডাক সেবক(ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার)পদ তৈরি করা হবে। বছরে তাঁদের ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়া হবে। ৭ হাজার ৮২টিসহকারী গ্রামীণ ডাক সেবক(অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার) পদ তৈরি করা হবে। তাঁদের বার্ষিক ১ লক্ষ ৬১ হাজার ১০০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে। এছাড়া ২৭৫টি পোস্টাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ১২০টি মেইল ওভারসিয়ার ও ৬০টি ইনসপেক্টর পদ তৈরি করা হবে।পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য একলপ্তে ৮৮ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা খরচকরা হবে।
বিএমএস অনুমোদিত ভারতীয় পোস্টাল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েস্টবেঙ্গল সার্কেল সম্পাদক শুভ্রদ্বীপ চৌধুরী বলেন, পোস্টাল পেমেন্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে গ্রামীণ ভারতের মানুষকে প্রকৃত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। আমাদের সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানিয়েছিল। ডাক বিভাগের ক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।