সাংগঠনিক কর্মে বড় সাফল্য পেতে পারেন। উপস্থিত বুদ্ধি আর সাহসের জোরে কার্যোদ্ধার। বিদ্যায় সাফল্য। ... বিশদ
এদিন বিকেলে ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার পুত্র। তবে ‘মমতা দিদি’র সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি চূড়ান্ত করে এসেছিলেন বেঙ্গালুরু থেকেই। ঐতিহ্যবাহী কন্নড় ‘পাঞ্চে’ (লুঙ্গি সমগোত্রীয়) আর সাদা শার্টের কুমারান্না (এ নামেই ডাকা হয় কুমারস্বামীকে) আপ্লুত হন আটপৌরে শাড়ি পরিহিতা ‘মমতা দিদি’কে দেখে। মাথা নিচু করে করজোড়ে দাঁড়ান বাংলার প্রশাসনিক প্রধানের সামনে। উত্তরীয় পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান মমতাও। এরপর অফিসঘরে বসে দুই নেতা-নেত্রীর আলোচনা চলে। হাজির ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জেডিএস সূত্রে খবর, কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা চলতি বছরেই। এটা যে তাঁর শেষ ভোটের লড়াই, ইতিমধ্যেই তা ঘোষণা করেছেন কুমারান্না। তাই এদিন তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে তাঁর সাহচর্য এবং আশীর্বাদ চান। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, নির্বাচনের প্রাক্কালে অন্য বিরোধী দলগুলির মতোই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে টার্গেট করা হচ্ছে জেডিএস নেতাদের। রাহুল গান্ধী ইস্যুতেও প্রতিক্রিয়া দেন তিনি—‘এটা বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।’ ভাঙা পা নিয়ে ২১’এর নির্বাচন পর্বে বাংলাজুড়ে ঝড় তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গোটা বিজেপি টিমের সঙ্গে লড়ে গিয়েছিলেন একাই। সেই লড়াই যে তাঁর পাথেয়, তা এদিন মমতা দিদিকে জানিয়েছেন কুমারান্না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ধাঁচে মহিলাদের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি সহ পাঁচটি জনমুখী নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি (পঞ্চরত্ন) দিয়েছে জেডিএস। সেটা যে মমতা মডেলের অনুকরণেই, তা এদিন জানিয়ে দিয়ে যান কুমারস্বামী। নির্বাচনে তাঁর সাফল্য কামনা করেছেন তৃণমূলনেত্রী।