একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
‘এক ঢিলে দুই পাখি মারা’র এই প্রযুক্তি-কৌশলই আসলে আপনার আড়ালে থাকা ‘গোয়েন্দা’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে কোভিড প্রোটেকশন সিস্টেম (কপস)। তৈরি করেছে দুর্গাপুরের সিএসআইআর-সিএমইআরআই। ইতিমধ্যেই তাদের এই প্রযুক্তি বাহবা কুড়িয়েছে কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের। রবিবার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠানের কাছে কার্যত ‘গেম-চেঞ্জার’ হয়ে উঠতে পারে ‘কপস’।
মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘কপস’-এর কাজ মূলত তিনটি। এক, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে আসা মাস্কহীন কর্মীদের চিহ্নিত করা। দুই, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কর্মীর হাতে মাস্ক পৌঁছে দেওয়া। তিন, কর্মীর অজান্তেই দেহের তাপমাত্রার পরিমাপ করা। এই তিনটি কাজই পরিচালিত হবে একটিমাত্র যন্ত্রে। তাকে বলা হচ্ছে ‘ইন্টিলিজেন্ট মাস্ক অটোমেটেড ডিসপেন্সিং ইউনিট-কাম-থার্মাল স্ক্যানার’ (ইন্টেলিমাস্ট)। যন্ত্রটি চলবে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে। ‘ইন্টেলিমাস্ট’-এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে এক বিশেষ সফটওয়্যর। মূলত, তারই কারিকুরিতেই ধরা পড়বে কোন কর্মী মাস্ক পরেছেন, কোন কর্মী পরেননি। মুহূর্তেই সেই তথ্য চলে যাবে অফিসের প্রশাসনিক বিভাগে। সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট কর্মীর জন্য বরাদ্দ হবে একটি মাস্ক। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সেটি সরবরাহ করবে গেট সংলগ্ন কিয়স্ক।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রক জানিয়েছে, কর্মীদের আইডি কার্ড স্ক্যান করে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হবে। থাকবে ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন’ ভিত্তিক ব্যবস্থাও। অর্থাৎ, কর্মীর মুখ স্ক্যান করে তাঁর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাবেন কর্তৃপক্ষ। দিল্লি থেকে ফোনে দুর্গাপুরের সিএসআইআর-সিএমইআরআইয়ের অধিকর্তা ড. হরিশ হীরানি বলেন, ‘কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কিংবা স্কুল, কলেজও এই ‘কপস’ কার্যকর করতে চাইলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব। বহু সংস্থায় নিরাপত্তাকর্মীরা একেবারে সামনে থেকে থার্মাল স্ক্যানিং করেন। তাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। আমাদের এই প্রযুক্তি-কৌশলে তাঁরাও উপকৃত হবেন। কিয়স্কের গায়ে লাল এবং সবুজ আলোর জ্বলে ওঠা ও নিভে যাওয়াই জানান দেবে কার শরীরের তাপমাত্রা কতটা। কোন কর্মী মাস্ক ছাড়াই কাজে এসেছেন।’
‘কপস’-এর পাশাপাশি বাড়িতে কিংবা বিভিন্ন কর্মস্থলে ব্যবহারের জন্য স্পর্শহীন ফসেটও তৈরি করেছে দুর্গাপুরের এই প্রতিষ্ঠান। করোনা আবহে যা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যবস্থায় একই ফসেট থেকে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সাবান ও জল বেরবে। কাজে যোগ দেওয়ার আগে সেখানে হাত ধুয়ে নিতে পারবেন কর্মীরা। মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘টাচলেস ফসেট’-এর কাছে হাত নিয়ে গেলেই তা ধরা পড়বে সেন্সরে। এরপর সেখান থেকে তরল সাবান বেরবে। তার ঠিক ৩০ সেকেন্ড পর বেরবে জল। কর্মস্থলে এসে নিজের গাড়ি পরিস্কার করতেও ‘৩৬০ ডিগ্রি কার ফ্লাশার’ ব্যবহার করা যাবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে।