প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
পুণ্যার্থীদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা এবং সুষ্ঠুভাবে মেলা সম্পন্ন করতে সঠিক পরিকল্পনা কতখানি প্রয়োজন, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যোগী প্রশাসন। ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে দেশজুড়ে। মেলা আয়োজনের পরিকল্পনায় যে যথেষ্ট ঘাটতি ছিল, তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার অভিষেক বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কুম্ভমেলায় এত মানুষ যখন যাবে, তখন একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, প্রস্তুতির দরকার ছিল। কিন্তু প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার অভাবই প্রকট হয়েছে। অথচ ঢাকঢোল পিটিয়ে মেলা নিয়ে প্রচার আর মার্কেটিংয়ে কোনও খামচি রাখা হয়নি। গরিব মানুষের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। অথচ বড় বড় উদ্যোগপতি, নেতা-মন্ত্রীদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা ছিল।’ চড়া সুরে যোগী সরকারকে আক্রমণ করেছেন অভিষেক। মৃতদেহের সংখ্যা ‘গোপন’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘কুম্ভমেলার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দিতে পারেনি বিজেপি সরকার। কখনও তারা বলেছে মৃতের সংখ্যা ৩০, আবার কখনও বলেছে ৪০। কিন্তু আমি যতটুকু জেনেছি, তাতে মৃতের সংখ্যা ১০০ পেরিয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
বিজেপি বিরোধী কোনও রাজ্যে দুর্ঘটনা ঘটলে তেড়েফুঁড়ে নেমে পড়ে গেরুয়া শিবির। অভিযোগের বন্যা বইয়ে দেয় তারা। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বেলায় বিজেপি নেতারা ‘চুপ’ কেন, সরব হয়েছেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ‘তামিলনাড়ু হোক বা বাংলা, বিজেপি বিরোধী কোনও রাজ্যে এমন ঘটনা যদি ঘটত, এতক্ষণে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুলে দিত তারা। যোগী প্রশাসন এত বড় মেলার যখন আয়োজন করছে, সেখানে গরিব মানুষের জন্য তারা কোনও ব্যবস্থাই করেনি। বাংলায় আমাদের সরকার গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল।’ তবে বঙ্গ বিজেপির নেতারা দাবি করছেন, কুম্ভমেলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলেও একটি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। মৃত্যুর শংসাপত্র না পেলে বা কোনওরকম সমস্যা হলে বিজেপির স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা পার্টি নেতৃত্বের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘যেন মানুষ নয়, গোরু-ছাগল মারা গিয়েছে। কলকাতার যে প্রৌঢ়া মারা গিয়েছেন, তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। একটা চিরকুট ধরিয়ে দিয়েছে।’ এদিকে, আজ কেন্দ্রীয় বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য তেমন কোনও আশার আলো থাকবে না বলেই মনে করছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টিরই জেতা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।