প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
২০২৪’র ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় কসবায় সুশান্ত ঘোষের উপর প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা হয়। নাইন এমএম পিস্তল থেকে গুলি না বেরোনোয় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন সুশান্ত। ঘটনাস্থল থেকে ধরা হয় যুবরাজ নামে এক দুষ্কৃতীকে। এরপর গুলজার. ফুলবাবু, আদিল সহ অনেকেই ধরা পড়ে। তাদের জেরা করে জানা যায় সুশান্তকে খুনের সুপারি নিয়েছিল বিহারের গ্যাংস্টার পাপ্পু চৌধুরি। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত সহ সাতটি রাজ্যের পুলিসের খাতায় সে মোস্ট ওয়ান্টেড। সুশান্তবাবুকে নিকেষ করতে ৫০ লক্ষ টাকায় ‘ডিল’ হয়েছিল পাপ্পুর সঙ্গে। তদন্তে উঠে আসে, সুশান্তই এই রাজ্যে তার প্রথম অপারেশন নয়। এই রাজ্যকে সে হাতের তালুর মতো চেনে। বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা পাপ্পুর প্রথম কাজ ছিল সালানপুরের ব্যবসায়ীকে অপহরণ। বিহারের এই কুখ্যাত মাফিয়া ২০২০’তে তার টিম নিয়ে এসে ওই ব্যবসায়ীকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে চলে যায় বৈশালীতে। সেখানে তাঁকে আটকে রেখে কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। সালানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ হলে পুলিস ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। পরে গ্রেপ্তার হয় পাপ্পু। ২০২০ থেকে ২০২২’এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সে আসানসোল জেলে ছিল। সেখানে বসে বিহারের এই ডন বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ফোন করে তোলা দাবি করতে থাকে। জেল থেকেই শাগরেদদের বিভিন্ন জায়গায় অপারেশনের নির্দেশ দিচ্ছিল। যে কারণে ২০২২’এর ৩ মার্চ তাকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান সেন্ট্রাল জেলে। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে ২৫’মে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়েছিল। পাহারারত নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় পাপ্পু। তাকে পলাতক দেখিয়ে বর্ধমান জেলা পুলিস কেস রুজু করে। তদন্তে জানা যায়, জেল পালানোর পর সে বিহারের বৈশালী চলে গিয়েছে। বিহার থেকে যোগাযোগ রাখছে বিভিন্ন রাজ্য থাকা তার শাগরেদদের সঙ্গে। ডান হাত আদিল মারফত সুপারির টাকা পৌঁছে যাচ্ছে তার কাছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় ডেরা বদলানোয় তার নাগাল পাচ্ছিল না বিহার এসটিএফ। কলকাতায় সুশান্ত ঘোষ কাণ্ডের পর তার খোঁজে বিহারে যান গোয়েন্দারা। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে পাপ্পুর একাধিক ডেরায় তল্লাশি চালানো হলেও পাওয়া যায়নি। এরমাঝে খবর আসে পথ দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও বিহার পুলিসের একাংশ দাবি করেছে, পাপ্পুকে আগেই ধরা হয়েছিল। তাকে নিয়ে তল্লাশিতে যাওয়ার সময় ভুয়ো সংঘর্ষ দেখিয়ে পর ট্রাকের সামনে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সরকারিভাবে তার মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনাই বলা হচ্ছে।