প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
গত লোকসভা ভোটের সময় বাংলা তো বটেই, গোটা দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঘটনা। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বইতে মমতা লিখেছেন, ‘ভোটের আগে সব থেকে ভয়াবহ ন্যাক্কারজনক যে ঘটনা এই বাংলায় ঘটিয়েছিল বিজেপি, তা হল সন্দেশখালির ঘটনা। রাজ্য এবং রাজ্যের নারীদের সম্ভ্রম ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে ভোটে জেতার ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছিল বিজেপি। আমরা দেখলাম, সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল বিজেপি এবং তার সুরে সুর মিলিয়ে নেচেছিল বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু দ্রুতই পর্দা ফাঁস হল সেই ঘটনার। আমরা সবাই দেখলাম, এই ধর্ষণের অভিযোগ গোটাটাই মিথ্যে। মহিলাদের শিখিয়ে-পড়িয়ে রীতিমতো ট্রেনিং দিয়ে করানো হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ। …২০২৪ সালের মতো এত চক্রান্তের নির্বাচন আগে দেখিনি।’ বিজেপি-বাম-কংগ্রেসের ‘অনৈতিক জোট’ নিয়েও বারবার সরব হয়েছেন মমতা। বিরোধীদের একযোগে নিশানা করে লিখেছেন, ‘তাদের রাজনীতিতে আদর্শ নেই, নেই নৈতিকতা।’ স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে তিনি বিঁধেছেন কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির শাসনকালকে। লিখেছেন, ‘আচ্ছে দিনের বদলে যে দুর্দিন নেমে এসেছে, ভারতবাসী তা প্রত্যক্ষ করছে। ...গত পাঁচ বছরে বিজেপি শাসনে আমরা দেখেছি, বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রই বিপন্ন।’ ‘ইন্ডিয়া’ জোট প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘২০২৪-এর নির্বাচনে আমরা আন্তরিকভাবে চেয়েছিলাম, বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় একটি শক্তিশালী জোট হোক। জোটের নাম ইন্ডিয়া হোক, এটা আমার প্রস্তাব ছিল। বিকল্প মুখ, ইস্তাহার এবং কমন মিনিমাম প্রোগ্রাম থাকা উচিত। কিন্তু তা হল না। যে যার বিরুদ্ধে লড়তে শুরু করল। ফলে আমাদের ব্যর্থতার কারণেই মাত্র কিছু আসনের ব্যবধানে বিজেপি ক্ষমতায় এল। তাও এককভাবে নয়।’ ছাপার অক্ষরে মমতা খোঁচা দিতে ছাড়েননি কংগ্রেসকেও। লিখেছেন, ‘রাজ্যে রাজ্যে যে সমস্ত বিরোধী দল ছিল, তাদের মধ্যে কিন্তু কোনও সমস্যা ছিল না। কী কারণে বা কেন ইন্ডিয়া জোটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হল যারা, তাদের মনে রাখা দরকার, তারা যা আসন পেয়েছেন তার বেশিরভাগটা কিন্তু রাজ্যগুলির সঙ্গে আসন রফা করে। এককভাবে কিছু করা সম্ভব ছিল না। তামিলনাড়ু বলুন বা উত্তরপ্রদেশ বলুন বা ঝাড়খণ্ড বলুন, সব জায়গাতেই কংগ্রেস কিন্তু জোট রাজনীতির সুফল পেয়েছে।’