হস্তশিল্পীদের কর্মোন্নতি ও নতুন কর্মের সুযোগ লাভের সম্ভাবনা। পেশাদার ডাক্তার, আইনজীবী ও অধ্যাপকদের পক্ষে দিনটি ... বিশদ
শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ শিয়ালদহ আদালতে আর জি কর মামলার রায়দান হয়। তার আগেই দুপুর ১টা নাগাদ শিয়ালদহে চত্বরে চলে আসে নির্যাতিতার পরিবার। বেলা পৌনে ২টো নাগাদ ২১০ নম্বর ঘরে বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে প্রবেশ করেন অভয়ার বাবা, মা ও কাকিমা। তখনও চোখেমুখে একটা চিন্তার ছাপ। বিচারক কী রায় দেন, তার জন্য প্রায় ৪৫ মিনিট এজলাসেই অপেক্ষা করেন তাঁরা। সেই সময় নির্যাতিতার বাবা-মা একবারের জন্যও নিজেদের মধ্যে কথা বলেননি। নিথর দৃষ্টি থমকে ছিল বিচারকের চেয়ারের দিকে।
অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার (বহিঃষ্কৃত) সঞ্জয় রায়কে কাঠগড়ায় তুলতেই তির্যক দৃষ্টিতে তার দিকে একবার তাকালেন বাবা-মা। মনে মনে হয়তো ভাবছিলেন, এর চরম শাস্তি হোক! ঠিক সাত মিনিটের মধ্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার তিন ধারায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। নির্যাতিতার বাবা-মা দু’জনেই একে অপরের হাত চেপে ধরলেন। আর জি করের নারকীয় ঘটনার ১৬২ দিনের মাথায় ‘দোষী সাব্যস্ত’ শব্দবন্ধটা শুনে যেন মানসিকভাবে শান্তি পেলেন নির্যাতিতার অভিভাবকরা। সেটাই প্রকাশ পেল বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞতায়। আদালত চত্বর থেকে বেরনোর সময় অভয়ার বাবা বলেন, ‘সঞ্জয়ের ফাঁসি চাই। আর যারা যারা এই ঘটনায় যুক্ত, তাদেরও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ অন্যদিকে, এদিন রায়দানের পরই সঞ্জয়ের দিদির বক্তব্য, ‘ভাই যদি এই কাজ করে থাকে, তাহলে আমি চাই ওর শাস্তি হোক। আমি ওর সঙ্গে আর দেখা করতে যাব না।’ মৃতার পরিবারের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়েছেন অপরাধীর দিদি।
এদিন শিয়ালদহ চত্বরের বাইরে ছিল ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (ইএসডি) গৌরব লাল ও ডেপুটি কমিশনার (নর্থ ও নর্থ সাবার্বান) দীপক সরকার। এজলাসের ভিতরেও মামলা শোনার জন্য প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে থেকে ভিড় জমে। অন্য মামলা নিয়ে আদালতে আসা মানুষ থেকে আইনজীবী, সকলেই ঢুকে পড়েন ২১০ নম্বর ঘরে। দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে দুপুর ২টো ২৩ মিনিটে মেলে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে সংবেদনশীল মামলার রায়।