হস্তশিল্পীদের কর্মোন্নতি ও নতুন কর্মের সুযোগ লাভের সম্ভাবনা। পেশাদার ডাক্তার, আইনজীবী ও অধ্যাপকদের পক্ষে দিনটি ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগ সম্প্রতি জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৪ শতাংশ। এদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার পূর্বাভাস ছিল, জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৬ শতাংশ। অর্থাৎ সরকার তার পূর্বাভাসে আরও ২০ বেসিস পয়েন্ট কমায় হার। এত কম জিডিপি বৃদ্ধির হার শেষবার ছিল চার বছর আগে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই হার ছিল ৮.২ শতাংশ। এমনকী, স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া তাদের একটি রিপোর্টে দাবি করেছে, চলতি অর্থবর্ষ শেষে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার আরও ১০ বেসিস পয়েন্ট কমে হতে পারে ৬.৩ শতাংশ।
এর প্রেক্ষিতে এদিন নীতি আয়োগ কর্তা বলেন, ‘গোড়ায় আমি বলেছিলাম, জিডিপি বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ সাড়ে সাত শতাংশ হতে পারে। তবে এখন আমার ধারণা, চলতি অর্থবর্ষ শেষে তা সাত শতাংশেরও কম হবে। কারণ, আমেরিকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এর আগে বিশ্বজুড়ে যে অস্থিরতার বাতাবরণ তৈরি করেছিল, নির্বাচনের পর সেই অস্থিরতা আরও বেড়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার মাত্রা এতটা হবে, তা আমি আগে বুঝতে পারিনি। আমেরিকার নির্বাচনের প্রভাব সরাসরি পড়েছে ইউরোপ ও চীনে। ভারতেও ঘুরপথে তার প্রভাব পড়ছে।’
এর পাশাপাশি অরবিন্দ ভিরমানি বলেন, ‘চীন নিজের দেশে এত বেশি শিল্প পরিকাঠামো তৈরি করেছে, যার সদ্ব্যবহার তারা করতে পারছে না। এই অযৌক্তিকতার ফল তারা হাতেনাতে পাচ্ছে। সেদেশে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে। তা ভারতে আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।’ তবে দীর্ঘমেয়াদে ভারতের লাভ হবে বলে আশাবাদী ওই অর্থনীতিবিদ। তাঁর দাবি, ‘দেশ যদি আগামী ২৫ বছরে বার্ষিক ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে, তাহলে উচ্চ মধ্যবিত্তদের দেশ হিসেবে চিহ্নিত হবে ভারত।’