নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সেই ৯ আগস্টের পর এই দিনটির জন্যই ছিল অপেক্ষা। আর জি করে কর্মরত তরুণী চিকিত্সকের উপর নৃশংস ঘটনা ঘটালকে? দোষী কে? এই প্রশ্নে তখন তোলপাড় হয়েছিল রাজপথ। শনিবার শিয়ালদহ আদালতে এই কাণ্ডের রায় দানের দিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করলেন। জাতীয় পতাকা নিয়ে আরও একবার ‘বিচার’-দাবিতে সরগরম শিয়ালদহ। সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায়কে স্বাগত জানিয়ে জুনিয়র চিকিত্সকদের প্রশ্ন, কেন তারা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দিতে পারল না? এদিন পুলিসি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। আদালতের সামনে ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড ছিল। প্রবেশ করতে গেলেই রাস্তাতেই পুলিসের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সবাইকে। আদালতের মূল ফটকের সামনে ‘বাংলা পক্ষ’ নামে একটি সংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের বাইরে জুনিয়র চিকিত্সকরা বিক্ষোভ দেখান। ২০টি প্রশ্ন সম্বলিত হ্যান্ডবিল বিলি করেন। তাঁদের বক্তব্য, শুধুই কি সঞ্জয় দোষী? এই প্রশ্ন সিবিআইয়ের উদ্দেশে। পথচলতি মানুষের বক্তব্য, শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুলিস যাকে গ্রেপ্তার করেছিল, সেই তো খুন-ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হল। শ্যামবাজারের বাসিন্দা অনুপ ভট্টাচার্য বললেন, ‘এখন তো মনে হচ্ছে, সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দেওয়া ভুল হয়েছিল।’
অভয়া মঞ্জ, জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট সহ একাধিক সংগঠন জমায়েতের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা যায়নি বলে অনেকের মত। আন্দোলনকারী চিকিত্সক বিপ্লব চন্দ বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। রাস্তা ছাড়লে চলবে না।’ কিন্তু পথচলতি সাধারণ মানুষের বক্তব্য, ‘এই বিষয় নিয়ে আন্দোলনের অবশ্যই দরকার। তা হয়েওছে। কিন্তু তদন্তের প্রশ্নে কারও উপর তো ভরসা রাখতে হবে। পুলিস-সিবিআই সকলের তদন্তেই যখন একটিই নাম উঠে আসছে তখনই তাই মানতে হবে।’