পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
মধ্যমগ্রাম পুরসভা পরিচালিত মাতৃসদন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্পেশালাইজড হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার। এখানে ২০১৯ সালে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তরুণী চিকিৎসক। তিন বছর দায়িত্ব সামলেছেন। চিকিৎসক হিসেবে জীবন শুরুর প্রথম তিনবছর ছিল কোভিড। তখন মনপ্রাণ ঢেলে রোগী সেবা করেছিলেন। তাঁর কাজে মুগ্ধ ওই হাসপাতালের নার্স, আয়া সহ অন্যান্য সহকর্মীরা। সে সময় সোদপুরের বাড়ি থেকে হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্সে মধ্যমগ্রামে আসতেন। এই চিকিৎসককে পাশবিক অত্যাচার করে খুনের ঘটনার পর অভিযুক্তের চরম সাজার জন্য প্রহর গুণছিলেন সহকর্মী মঞ্জুরি দত্ত ধর, নিশীথা পাল, রুমা সরকার থেকে শুরু করে অ্যাম্বুল্যান্স চালক সমীর ভট্টাচার্য পর্যন্ত। তাঁরা শনিবার ডিউটির ফাঁকে চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়। সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হতেই হাঁফ ছাড়েন। নার্স মঞ্জুরি দত্ত ধর বলেন, ‘আমরা চাই অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করুন বিচারক। নারকীয় ঘটনার জন্য অনুশোচনায় জর্জরিত হয়ে তিলে তিলে জেলে থেকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাক ও।’ রুমা সরকার, নিশীথা পালদের অবশ্য বক্তব্য, ‘এইভাবে খুন করা হল! অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা, ফাঁসি চাই।’ অ্যাম্বুল্যান্স চালক বলেন, ‘হাসিখুশি মানুষ ছিলেন। তাঁর সঙ্গেই এরকম হল! দোষীর সর্বোচ্চ সাজা হওয়া উচিত।’ ওয়ার্ড মাস্টার সুশান্ত পাল বলেন, ‘বিচারক এমন সাজা ঘোষণা করুন যাতে অভিযুক্ত জেলের ঘানি টানে সারাজীবন।’ -নিজস্ব চিত্র