আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
তারিকুলের স্ত্রীর বিষয়ে তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারছেন, ঝাড়খণ্ডের রামগড়ের ওই কিশোরীকে পড়াশোনা করানোর নাম করে গ্রাম থেকে নিয়ে আসে জেলবন্দি আর এক জঙ্গি নাজিবুল্লা হাক্কানি। বছর পনেরোর ওই মেয়েটিকে তোলা হয় শিমুলিয়ার খারিজি মাদ্রাসায়। সেখানে প্রশিক্ষণ দিত নুর, সাজিদ ওরফে বোরহান শেখ ও তারিকুল। মগজ ধোলাই করার পর তারিকুলের স্ত্রীকে জেহাদি ভাবধারায় অনুপ্রাণিত করা হয়। নুর জেরায় তদন্তকারীদের জানিয়েছে, ওই কিশোরীকে সে আইইডি তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়। তারিকুল তাকে অস্ত্র চালানোর তালিম দিয়েছিল। কিশোরী থেকে তরুণী হয়ে ওঠা ওই মহিলা নিজেও অস্ত্র চালাতে ও বিস্ফোরক বানাতে যথেষ্ট দক্ষ। এরপর আর এক অভিযুক্ত সাজিদ তারিকুলের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ে দেয়। দু’জনেই তখন জেএমবি সংগঠনের হয়ে কাজ করছিল। খারিজি মাদ্রাসায় অন্যদের মগজ ধোলাইয়ের কাজও চালাচ্ছিল ওই মহিলা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর শিমুলিয়া মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে সাহেবগঞ্জে থাকত তারিকুল ও তার স্ত্রী। ইউনাইটেডে জেহাদ কাউন্সিলের মাথায় থাকা সালাউদ্দিন সালেহান বিস্ফোরণের পর তারিকুলের বাড়িতে আশ্রয় নেয় বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। সালাউদ্দিন রয়েছে জেনেও তারিকুলের স্ত্রী পুলিসকে তা জানায়নি। উল্টে, সালউদ্দিনকে লুকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তারিকুলও জেরায় বেঙ্গল এসটিএফ অফিসারদের একই তথ্য দিয়েছে। তবে খাগড়াগড় কাণ্ডের সকল অভিযুক্ত ধরা পড়ার পর ওই মহিলা চুপচাপই ছিল।
তাই তদন্তকারীরা দেখতে চাইছেন, তারিকুল জেলে থাকার সময় কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। এবিটির হয়ে গোপনে কাজকর্ম করছিল কি না জানার চেষ্টা চলছে তাও। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, বাংলাদেশে হাসিনার পতনের পর যারা এবিটির নেটওয়ার্ক ছড়ানোর জন্য কাজ শুরু করেছিল তারা সকলেই তারিকুলের স্ত্রীর পরিচিত। তার স্বামীও এই কাজে জড়িত ছিল। তাই গত তিন-চার বছরে সে কাকে কাকে ফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করেছে, তা জানতে তার মোবাইলের পুরনো কল ডিটেইলস বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।