একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
শনিবার তদন্তকারীদের হাতে যে তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে তাতে স্পষ্ট, খুনের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল কার্যত বাবলার নাকের ডগায়, এক প্রতিবেশীর বাড়িতে। খাসতালুক ঝলঝলিয়া, মহানন্দাপল্লিতে বসেই যে তাঁকে নিকেশ করার নিখুঁত পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে, ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। ব্যবসায়িক কোন্দলই তাঁকে খুনের পথ প্রস্তুত করেছিল বলে অনুমান পুলিস আধিকারিকদের। জানা গিয়েছে, মালদহ টাউন স্টেশন সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্রমশ ডালপালা মেলছিল মাদকের কারবার। জনমত তৈরি করে সেই চক্র ধ্বংস করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন বাবলা। পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ানোর কারণেই তিনি সেই চক্রের টার্গেট হয়েছেন কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ধৃত অমিত রজকের দিদার বাড়ি ঝলঝলিয়ার মহানন্দাপল্লি এলাকায়। বাবলার বাড়ি থেকে মেরেকেটে ২০০ মিটার দূরে। সেখানে বসেই তৈরি হয়েছিল শাসকদলের এই দাপুটে নেতাকে খুনের ব্লু-প্রিন্ট। এমনকী সুপারি কিলাররা পর্যন্ত ডেরা বেঁধেছিল সেই বাড়িতেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাইরে থেকে দেখতে অতি সাধারণ ওই আস্তানা। বাবলা খুনের কয়েক দিন আগে থেকে সেখানে দেখা যাচ্ছিল কয়েকজন অচেনা যুবককে। ওই বাড়িতে অমিত খুব কম থাকত। বরং তার দাদা রোহন ওরফে কৃষ্ণ রজককে প্রায়ই সেখানে এসে থাকতে দেখা যেত। এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে দুধ বিক্রি করত অমিত। দাদা রোহনও ব্যবসা করত বলে জানতেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু কীসের ব্যবসা সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা কারও ছিল না। রোহনকেই এই খুনের অন্যতম ‘চক্রী’ বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। স্থানীয় বাসিন্দা সুমনা মোদক, সুজাতা সরকার সহ কয়েকজন শনিবার জানিয়েছেন, বাবলা খুন হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই ওই বাড়িতে থাকছিল রোহন। সঙ্গে কয়েকজন অপরিচিত যুবক। কেউ তাদের নিয়ে প্রশ্ন করলে বন্ধু বলে এড়িয়ে যেত রোহন। বৃহস্পতিবার সকালে খুনের ঘটনার পরই সে এলাকা থেকে গায়েব। উধাও ওই বাড়িতে থাকা অন্য তরুণরাও। তাদের খোঁজ পেলে তদন্ত অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার ধরা পড়া আর এক ধৃত তরুণ, মাধ্যমিক ফেল অভিজিৎ ঘোষের বাড়ি মালদহ শহরের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোড়াপীর এলাকায়। কীভাবে সে এই সুপারি কিলার গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ল, বুঝতেই পারছেন না বাবা রতন ঘোষ ও মা সুমিতা। এদিন ধৃতদের সিজেএম আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের ১৩ দিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ফরেন্সিক তদন্তের আবেদনও মঞ্জুর করেছে আদালত।