একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিকল্প হিসেবে কয়েকশো বাস যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মেরামত করে রাস্তায় নামানো হয়েছিল। যার জন্য অর্থদপ্তর কয়েক কোটি টাকা অনুমোদন করেছিল। চলতি বছর দুর্গাপুজো কিংবা পরবর্তী উৎসবের মরশুমে রাস্তায় যাত্রী পরিষেবা মসৃণ হয়েছিল এই বাসগুলির সৌজন্যে। এক্ষেত্রে বাড়তি ট্রিপ করার মতো পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব রয়েছে তা স্বীকার করে নেন ওই কর্তা। তিনি বলেন, পরিবহণ দপ্তরের তরফে ইতিমধ্যেই অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চান সাধারণ মানুষের বাস পরিষেবা আরও উন্নত হোক। রাস্তায় আরও বেশি সংখ্যক সরকারি বাস নামুক। তার পাশাপাশি চালক-কন্ডাক্টর পদে কয়েকশো কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হোক। নবান্নের ওই প্রভাবশালী আমলার দাবি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়ে গেলে সরকারি বাসের ট্রিপের সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে।
যদিও পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী শনিবার স্বীকার করে নেন, যাত্রীদের চাহিদা মতো বাস এই মুহূর্তে নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই সরকারি পরিবহণ নিগমগুলির কর্তাদের তা সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। পরিবহণ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহত্তর কলকাতায় এই মুহূর্তে ৫০০টির মতো সরকারি বাস যাত্রী পরিষেবায় যুক্ত হয়েছে। এই বাসগুলি দিয়ে প্রায় হাজার চারেকের বেশি ট্রিপ চালানো হচ্ছে। অফিস টাইম কিংবা দিনের ব্যস্ত সময়ে আমজনতার সুবিধার কথা মাথায় রেখে স্পেশাল সার্কুলার রুটে বাস চালু করা হয়েছে। যেগুলি মূলত রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, কালীঘাট, আলিপুর, এক্সাইড পিটিএস হয়ে চলাচল করে। সারাদিনে ২৪টি ট্রিপে চলে বিশেষ এই বাস পরিষেবা। সূত্রের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর কথা মেনে আগামী সোমবার থেকে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বিভাগীয় সচিব সৌমিত্র মোহন সহ উচ্চপদস্থ কর্তারা শহরের রাস্তায় নামবেন। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সরকারি বাসের বাস্তবিক চিত্র দেখতেই এই উদ্যোগ।