একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, জোনাকির আলোর উৎস কী? কেনই বা কিছু কিছু জোনাকির আলো বা জ্যোতি থাকে না? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, জোনাকির আলো আসলে এক রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফসল। এই আলোকে বায়োলুমিনিসেন্সও বলা হয়। এতে জোনাকি লুসিফেরিন নামে এক ধরনের প্রোটিনকে লুসিফেরেজ নামের উৎসেচক দিয়ে রাসায়নিকভাবে ভেঙে দেয়। তখনই এই আশ্চর্য জ্যোতি উৎপন্ন হয়।
আরও আশ্চর্যজনক হল, এই আলোর মাধ্যমে জ্যোতিযুক্ত জোনাকিগুলি বাকি বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে। এই সংযোগকে বিজ্ঞানে বলা হয় ‘ফ্ল্যাশিং কমিউনিকেশন’। এবার প্রশ্ন হল, আলো উৎপন্ন না হওয়া সত্ত্বেও ‘লেমেলিপেলপোডাস অস্মিতা’র মতো জ্যোতিবিহীন জোনাকিগুলি কীভাবে যোগাযোগ রেখে চলে? গবেষকরা জানিয়েছেন, এদের শুঁড়গুলি বৈঠার দাঁড়ের মতো। সেখানে সেন্সরি ফিল্ড বা বিশেষ ধরনের ঘ্রাণেন্দ্রিয় দেখা গিয়েছে। রয়েছে সেনসিলাও। এগুলির মাধ্যমে এরা অনেক দূরের বস্তুর ঘ্রাণ ও স্বাদ নিতে পারে। এইসব সেন্সরি ফিল্ড এবং সেনসিলা দিয়েই এরা অন্য বস্তুর ঘ্রাণ নেয়।
অর্ণববাবুর এই গবেষণাপত্রটি গৃহীত হয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ‘জার্নাল অফ এশিয়া প্যাসিফিক এন্টোমলজি’ শীর্ষক পত্রিকায়। তিনি বলেন, ‘জ্যোতিবিহীন জোনাকিগুলি কীভাবে জ্যোতি ছাড়াই বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলেছে, তা আজও পৃথিবীর একটি আশ্চর্য ঘটনাগুলির একটি। আমরা সেটাই দেখবার চেষ্টা করে চলেছি।’ যাঁর নামে নয়া প্রজাতির নামকরণ, গবেষকদ্বয়ের সেই অধ্যাপিকা ডঃ সমাদ্দার বলেন, ‘অসাধারণ একটি আবিষ্কারের সঙ্গে নিজের নাম যুক্ত হওয়ায় ভীষণই গর্বিত লাগছে। দুরন্ত বৈজ্ঞানিক কাজ করার জন্য অর্ণব-বনানীদের অভিনন্দন জানাই।’