একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির কোনও অংশ পাকা থাকলে মিলবে না আবাস প্রকল্পের বাড়ি। কিন্তু মোদির সরকার এখন আর আবাস প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৃথকভাবে বাংলা আবাস প্রকল্প চালু করেছে। ফলে, নিয়ম কানুনেরও অনেক রদবদল হয়েছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন বাড়ির একটি পাকা দেওয়াল থাকলেও সংশ্লিষ্ট মালিক আবাসের টাকা পাবেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ১৪ নভেম্বর সার্ভের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। সেই তারিখ বেড়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি এমন বহু পরিবার রয়েছেন, যাঁদের এক কালে পাকা বাড়ি ছিল। সেই বাড়ি এখন ভুতুড়ে বাড়ির দশা। তাঁদের নাম কী ভাবে অন্তর্ভূক্ত করা যায়, তা নিয়েও শুরু হয়েছে ভাবনাচিন্তা। সালানপুর ব্লকের কল্ল্যায় রায় পরিবার বিষয়টি ‘বর্তমান’ খবরের কাগজে প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘অনেকক্ষেত্রেই আমরা দেখছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচতে গরিব মানুষ বহু কষ্ট করে একটি দেওয়াল পাকা করেছেন। বাকি অংশ মাটির। সেটি পাকা বাড়ি না কাঁচা বাড়ি, তা নিয়ে সংশয় ছিল। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবার এই বাড়িগুলির মালিকও যোগ্য উপভোক্তা হিসেবে বিবেচিত হবে। পাশাপাশি, যাঁদের আগে পাকা বাড়ি ছিল। কিন্তু এখন সেই বাড়ি পরিত্যক্ত, সেগুলির ক্ষেত্রেও মানবিক বিবেচনা করা হবে।’
সালানপুর ব্লকের কল্ল্যার রায় পরিবার। একদা এলাকার জমিদার ছিলেন। বিশাল জরাজীর্ণ বাড়িটি আজ কেবলই ইতিহাস। অস্তমিত জমিদার-মহিমার সাক্ষী। রায় বাড়ির বংশধরদের বেশিরভাগই এখন আর্থিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল। ত্রিপল টাঙিয়ে কোনওরকমে দিনগুজরান করছেন। তাঁরা পূর্বপুরুষদের পাকা বাড়ির অংশীদার। তাই আর আবাস তালিকায় নাম ওঠেনি। এই অবস্থায় প্রশাসনের কাছে বাড়ি পাওয়ার করুণ আর্জি করেছিলেন তাঁরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সচিব মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য পুরো বিষয়টি বিডিওকে খতিয়ে দেখতে বলেছেন। পঞ্চায়েতমন্ত্রীও বিষয় খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন। এই অবস্থায় আশার আলো দেখছে পরিবারগুলি। শুধু তাঁরাই নন, রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই কমবেশি এমন পরিবার রয়েছে। যাঁদের এক সময়ে অবস্থাপন্ন ছিলেন। এখন হতদরিদ্র। তাই কল্ল্যার জট কাটলে বহু পরিবার নতুন করে আশার আলো দেখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, একটি দেওয়াল পাকা থাকলেও বাড়ির মালিক যোগ্য উপভোক্তা বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য, তাতে বহু মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রশাসনিক কর্তারা জানান, বহু ক্ষেত্রেই এই ধরনের বাড়ি নজরে আসছে। আসলে, ওই পাকা দেওয়ালের উপর ভরসা করেই বাড়ির চাল ও বাকি দেওয়ালগুলো টিকে থাকে। অনেকক্ষেত্রে ঝড়, বৃষ্টির প্রবল ঝাপটাও সামলে নেয় পাকা দেওয়ালটি। তাই অনেক গরিব মানুষ এই ধরনের বাড়ি বানিয়েছেন। তাঁদের নাম বাদ গেলে বহু প্রকৃত উপভোক্তা বাদ পড়তেন। তাঁরা রাজ্যের বর্তমান সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন।