অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
বিকাশ ভবনে স্কুল শিক্ষাদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন, পড়ুয়ারা আবেদন করার পর সেই তালিকা প্রধান শিক্ষকের কাছে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাপকদের তালিকা পোর্টালে আপলোড করে। এরপর একটি ভার্চুয়াল সার্টিফিকেট ইস্যু হয়। তারপর আসে ওটিপি। সেটি ইনপুট করলে পুরো সিস্টেম লক হয়ে যায়। স্কুলের তরফে নামের তালিকা পাঠানো হয় এসআইয়ের কাছে। সেখানে পরীক্ষার পর তা যায় ডিআইয়ের টেবিলে। এসআই বা ডিআই অফিসের নজরে কোনও ভুল ধরা পড়লে ওই তালিকা আবার ফেরত পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট স্কুলে। কারণ সিস্টেম আনলক করার ক্ষমতা তাদের নেই। তালিকা সংশোধন বা পরিবর্তনের একমাত্র ক্ষমতা রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। ডিআই অফিসে তালিকা পৌঁছনোর পর তারা অর্থদপ্তরে আপলোড করে। অর্থদপ্তর টাকা ইস্যু করে।
যে সমস্ত স্কুল থেকে টাকা উধাও হয়েছে, সেখানে কখন ডেটা আপলোড করা হয়েছে, তার সময় দেখা হয়। অফিসারদের নজরে এসেছে, যে সময় ডেটা আপলোড হয়েছে, ওই সময়েই তথ্য বদলে দেওয়া হয়েছে। এখান থেকেই স্পষ্ট, কোনও আনঅথরাইজড অ্যাক্সেস হয়েছে স্কুলের কম্পিউটারে। হ্যাকাররাই এই কাজ করেছে। তদন্তকারীদের অনুমান, কখন তথ্য আপলোড হচ্ছে, এই খবর স্কুল থেকেই ফাঁস হয়েছে। স্কুলগুলি কী প্যাটার্নের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে, তা তারা জানতে পেরেছে স্কুলেরই কোনও কর্মীর কাছ থেকে। শিক্ষাদপ্তরের পুরো সিস্টেম সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল জালিয়াতরা। তদন্তে দেখা গিয়েছে, কমবেশি সব স্কুলই অত্যন্ত দুর্বল ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করত। যেকারণে হ্যাক হয়েছে স্কুলের কম্পিউটার। তারপর আপলোড হওয়া নথি থেকে তথ্য অদলবদল করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এভাবেই টাকা হাতিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্টে সরিয়েছে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, যদি স্কুল থেকেই তথ্য এডিট করা হতো, তাহলে আইপি অ্যাড্রেস একই থাকত। এক্ষেত্রে আইপি অ্যাড্রেস আলাদা হওয়ায় তাঁরা নিশ্চিত যে, এই ঘটনার নেপথ্যে হ্যাকারদের হাত রয়েছে। সেকারণেই স্কুল শিক্ষাদপ্তরের কাছে গোটা পদ্ধতি কীভাবে চলে, তার বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি স্কুলগুলির কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে, তাদের ডেটা আপলোড করার দায়িত্বে কে বা কারা রয়েছেন, কখন আপলোড করা হয়েছে, ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড কারা নিয়ন্ত্রণ করেন ইত্যাদি।