অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
এবছর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলীয় স্তরে রদবদলের বিষয়টি সামনে এসেছে। দিন যত এগিয়েছে, ততই এনিয়ে চর্চা বেড়েছে। এই রদবদলের সম্ভাবনা আরও উস্কে যায় গত ৭ নভেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, রদবলের একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। অভিষেকের দেওয়া প্রস্তাব মতো রাজ্যের প্রায় ৬০-৬৫টি পুরসভার এবং দলের সাংগঠনিক স্তরে ১০-১২টি জেলার সভাপতি পদে বদলের উল্লেখ রয়েছে।
এই তথ্য সামনে আসার পরই তৃণমূলের জেলার নেতাদের মধ্যে কৌতূহল, প্রশ্ন প্রতিদিনই বাড়ছে। লোকসভা ভোটে শহরাঞ্চলের যে সমস্ত পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে, সেখানে বদল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কেননা অভিষেকের কথা মতো পারফরম্যান্স হল শেষকথা। পুরসভার প্রধান, উপ প্রধান, পুরপ্রধান-পারিষদের ভূমিকা খতিয়ে দেখেছে অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিট। নেওয়া হয়েছে ভোটকুশলী সংস্থার রিপোর্ট। আর তাতেই প্রবল চর্চা কারা থাকছেন পদে। এমতাবস্থায় তৃণমূলের রাজ্য স্তরের এক শীর্ষ নেতা উল্লেখ করেছেন, প্রতিদিনই অসংখ্য ফোন আসছে। জেলা থেকে কলকাতায় ছুটে এসে অনেক পুরসভার চেয়ারম্যান ও পুরসভার পদাধিকারীরা দেখা করে যাচ্ছেন। সকলের একটাই কৌতূহল, সেই পুরসভার চেয়ারম্যান তাঁর পদে থাকছেন কি না!
লক্ষণীয় বিষয় হল, গত ৪-৫দিনে তৃণমূল ভবনে পুরসভার অনেক পদাধিকারীকেই দেখা গিয়েছে। তাতে মেদিনীপুর থেকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলার একাধিক পুরপ্রধানকে দেখা গিয়েছে। আর এর মধ্যেই রয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতিরাও। কোন ১০ জন বাদ পড়তে চলেছেন, সেটাই এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। এখন যাঁরা সভাপতি রয়েছেন, তাঁদের পারফরম্যান্স রিপোর্ট কার্ড নিয়ে রাজ্য স্তরের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, এমন খবরও মিলেছে। তৃণমূল শিবিরের অন্দরে চর্চা, ২৩ নভেম্বর উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশ হলেই রদবদলের বিষয়টি পুরো পরিষ্কার হয়ে যাবে।