অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের এক আধিকারিক বলেন, জঙ্গলের একটা বড় অংশ ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হবে। বেশি সংখ্যক বাঘের ছবি যাতে ধরা পড়ে, তার জন্যই ৪৫ দিন জঙ্গলে রাখা থাকবে ক্যামেরা। উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, হতেই পারে কোনও বাঘ ক্যামেরা বসানো জায়গায় ৩০ দিন এল না। পরে ঘুরতে ঘুরতে সেখানে হাজির হল। তখন তার ছবি ধরা পড়বে। তাছাড়া এই ক্যামেরা চালু হওয়ার পর থেকে ব্যাটারির আয়ু থাকে ৪৫ দিন পর্যন্ত। এই পুরো সময়টা কাজে লাগাতে চাইছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। আর গতবারের মতো এবারও মেছো বিড়াল, বুনো শুকর সহ অন্যান্য প্রাণীর ছবিও ধরা পড়বে।
পরে সেগুলিও পর্যালোচনা করা হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা আঞ্চলিক বনবিভাগ এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতাধীন জঙ্গলে একসঙ্গেই এই শুমারির কাজ হবে বলে ঠিক হয়েছে। ক্যামেরা কীভাবে বসাতে হবে, সেজন্য বনকর্মীদের একপ্রস্থ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, ২১ নভেম্বর জঙ্গলে ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করবেন বনকর্মীরা। ২৬ তারিখের মধ্যে সেটা শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ছবি তোলার কাজ চলবে। তবে এবার ছোট ছোট এলাকা ধরে ক্যামেরা বসানো হবে, নাকি বড় এলাকা জুড়ে, সেজন্য একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং ডিএফও যৌথভাবে তা ঠিক করবে। বনবিভাগের এক কর্তার কথায়, বাঘেদের খুনসুটি, কে কখন দৌড়ে শিকার করছে, শাবকদের নিয়ে মা বিশ্রাম নিচ্ছে, এসব আগেরবার ধরা পড়েছিল। এবারও আশা করা যাচ্ছে, আরও অনেক অজানা তথ্য হাতে আসবে।