প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলাকারীর নাম রাজেশ সাউ ওরফ ঘাউড়া রাজেশ। তার বাড়ি গৌরীপুরের কুলি লাইন এলাকায়। রাজেশের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। নৈহাটি থানায় রাজেশ সহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে রাজেশের সঙ্গে সন্তোষের ঝামেলা হয়েছিল। পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করেই বৃহস্পতিবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। এমনকী রাজেশের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
শুক্রবার দুপুরে গৌরীপুরের গোয়ালপাড়া ঘাটের কাছে পানিট্যাঙ্কি এলাকা দিয়ে টোটোতে যাচ্ছিলেন সন্তোষ। বাইক এসে রাজেশ ও তার বাহিনী পথ আটকায়। তারা দুটি বাইকে ছিল। শুরু হয় বচসা। প্রথমে টোটো থেকে নামিয়ে ইট দিয়ে মুখ, মাথায় মারা হয় সন্তোষের। আগ্নেয়াস্ত্র বের করতেই সন্তোষ তা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পরে, দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, রাজনৈতিক নয় ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই ঘটনা। রাজেশের উপরও আগে হামলা করেছিল সন্তোষ। রাজেশ প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল। নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, রাজেশ সক্রিয় বিজেপি কর্মী। ২০১৯ সালে বিজেপির হয়ে নৈহাটিতে তাণ্ডব চালিয়েছিল। গৌরীপুর আগে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ছিল। এবার সেই ঘাঁটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সন্তোষকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক সনৎ দে বলেন, পানিট্যাঙ্কির কাছে তাড়়া করে সন্তোষকে পরপর চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে খুন করেছে। পার্থ ভৌমিকের অভিযোগ, খুনের পিছনে অর্জুন সিং রয়েছে। অর্জুন সিং বলেন, দুটো গ্যাংয়ের মধ্যে লড়াই। এটাকে রাজনীতির রূপ দিচ্ছেন পার্থ ভৌমিক। নিজস্ব চিত্র