প্রায় সম্পূর্ণ কাজে শেষ মুহূর্তে বাধা পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়তে পারেন। সন্তানের বিদ্যা শিক্ষার বিষয়ে ... বিশদ
১৯০১ সাল থেকে দেশের আবহাওয়ার তথ্য সংরক্ষিত আছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়েছে, ওই সময়ের নিরিখে ২০২৪ সালটি ছিল দেশে উষ্ণতম। গতবছর দেশের গড় তাপমাত্রা দীর্ঘকালীন গড়ের থেকে ০.৬৫ ডিগ্রি বেশি ছিল। এর আগে দেশে সব থেকে উষ্ণ বছর ছিল ২০১৬। নতুন বছরের প্রথম মাসে বেশি তাপমাত্রার প্রবণতা থেকে আবহাওয়াবিদদের মধ্যে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, পুরো ২০২৫ সালটি কীভাবে কাটবে? কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র শুক্রবারই দিল্লিতে ফেব্রুয়ারি মাসের আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রকাশ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে দেশের বেশিরভাগ অংশে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভবিকের থেকে বেশি থাকবে। বৃষ্টিও হবে স্বাভাবিকের থেকে কম। এর মধ্যে পূর্ব ও উত্তর ভারতও আছে।
গতবছর বিশ্বের গড় উষ্ণতা সব থেকে বেশি ছিল বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। প্রাক-শিল্পায়ন-যুগের পর থেকে গত ১০০ বছরের অধিক সময়ের মধ্যে এবার বিশ্বের গড় উষ্ণতা স্বাভাবিকের তুলনায় সবথেকে বেশি ছিল। এবারই প্রথম স্বাভাবিকের থেকে গড় উষ্ণতা বেশি থাকার সীমা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। পরিবেশ দূষণজনিত কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ছে বলে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছে।
পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ভরা শীতকাল জানুয়ারিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেশি ছিল কেন? তার প্রকৃত কারণ জানার জন্য বিস্তারিত বিশ্নেষণ প্রয়োজন বলে মনে করেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস। তবে তিনি জানিয়েছেন, সাধারণভাবে দেখা যাচ্ছে, এবার জানুয়ারিতে পশ্চিম হিমালয় এলাকায় পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এসেছে। ঝঞ্ঝাগুলি খুব শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু তার প্রভাবে উত্তুরে হাওয়া দুর্বল হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গসহ পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে কনকনে ঠান্ডা পড়ে মূলত উত্তুরে হাওয়া সক্রিয় থাকলে। গত ১২ বছরের মধ্যে এবারের জানুয়ারি কলকাতাও উষ্ণতম ছিল। এবার জানুয়ারিতে শহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একদিন ১২.৩ ডিগ্রিতে নেমেছিল। সেটাই ছিল এবারের শীতে এখনও পর্যন্ত শীতলতম দিন। পরপর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য জানুয়ারির শেষে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। আপাতত ফেব্রুয়ারির প্রথম ৩-৪ দিন এই প্রবণতা বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস।