পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
বুধবার বিকেলে ইসলামপুর আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে রায়গঞ্জ জেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল খুন-ডাকাতির মামলায় অভিযুক্ত সাজ্জাককে। সঙ্গে ছিল আরও দুই বন্দি। একটি নির্জন জায়গায় প্রকৃতির ডাকের বাহানা করে নামে সে। কয়েক লহমার মধ্যেই গায়ে মুড়ি দেওয়া কম্বলের ভিতর থেকে পিস্তল বের করে গুলি ছুড়ে পালায় সাজ্জাক। রক্ষীদের নজর এড়িয়ে সাজ্জাকের কাছে পিস্তল পৌঁছল কী করে? কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগে ইসলামপুর আদালতে চার পুলিস কর্মীকে এদিন সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম।
রায়গঞ্জ জেল থেকেই মোবাইলে সাজ্জাক যোগাযোগ রাখছিল একদা জেলে তার সতীর্থ আবালের সঙ্গে। সেই মতো আগ্নেয়াস্ত্র এবং আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে সে। বুধবার পালানোর পর রাত ৮টা নাগাদ সীমান্তবর্তী এক গ্রামে ফেরার গ্যাংস্টার দেখা করে আবালের সঙ্গে। সাজ্জাক সিম পাল্টালেও, আবালের ফোন ট্র্যাক করেই মেলে হদিশ। যেহেতু আবাল বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁওয়ের বাসিন্দা, সেখানেই পালানোর মতলবে ছিল সাজ্জাক। বাধা হয়ে দাঁড়ালেন ডিআইজি (রায়গঞ্জ) সুধীর নীলকান্তমের নেতৃত্বে থাকা বেঙ্গল এসটিএফ এবং পুলিস জেলার এসওজি থেকে বাছাই করা ‘স্পেশালিস্ট’রা। জাভেদ শামিম কিন্তু সাফ বলেছেন, ‘ডিজি থেকে কনস্টেবল, সবাই প্রশিক্ষিত। আক্রমণ হলে, কীভাবে ট্যাকল করতে হয়, পুলিস তা জানে।’