পারিবারিক ক্ষেত্রে বহু প্রচেষ্টার পর শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা। সন্তানের কর্ম উন্নতিতে আনন্দ লাভ। অর্থকর্মে শুভ। ... বিশদ
উদ্যোক্তাদের দাবি, ইতিপূর্বে এত উঁচু সরস্বতী প্রতিমা পশ্চিমবঙ্গে কোথাও হয়নি। এমন বিশাল প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি এর নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা। আচমকা কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলেও এই দশতলা উঁচু সরস্বতী প্রতিমা যাতে পড়ে না যায়, তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। অন্যতম পুজো উদ্যোক্তা, মহেশতলা পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার গোপাল সাহা বলেন, প্রতিমার মূল কাঠামোকে চারপাশ থেকে ঘিরে দশতলা সমান উঁচু বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করা হচ্ছে। তার ভিতর থাকছে লোহার পাইপ দিয়ে তেরি কাঠামো। ফলে যদিও কখনও ঝড় হয়, তাহলে প্রতিমা হেলে যাওয়ার কোনও অবকাশ নেই। বলা যায়, সব দিক বেঁধে আমরা এই আয়োজন করেছি।
গোপালবাবু বলেন, নিউল্যান্ড ময়দানে অনেকটা ফাঁকা জায়গা রয়েছে। সেই কারণে এই স্থানটি নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে এত উঁচু সরস্বতী প্রতিমা দেখার জন্য প্রচুর জনসমাগম হলেও ঠেলাঠেলি না হয়। সেইভাবেই দর্শনের জায়গাও করা হচ্ছে। এমনিতে নিউল্যান্ড ময়দানে দু’টি আলাদা সরস্বতী পুজো হতো। এবার সকলে এক হয়ে এই বড় পুজো করছেন। কাউন্সিলার বলেন, এখনকার নবপ্রজন্ম, বিশেষ করে ১৮ থেকে ২০ বয়সের যুবক-যুবতীরা সরস্বতী পুজো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। সবাই মুঠোফোনে এতটাই আসক্ত হয়ে গিয়েছেন যে, পুজোর প্রতি আগ্রহ নেই। এই নবপ্রজন্মকে সরস্বতী পুজোর সঙ্গে যুক্ত করতেই আমাদের এমন অভিনব প্রয়াস।