হস্তশিল্পীদের কর্মোন্নতি ও নতুন কর্মের সুযোগ লাভের সম্ভাবনা। পেশাদার ডাক্তার, আইনজীবী ও অধ্যাপকদের পক্ষে দিনটি ... বিশদ
গত বছর ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে শহর কলকাতা সহ গোটা দেশই উত্তাল হয়ে ওঠে। সিবিআই তদন্ত, বিচারের দাবিতে আন্দোলন, সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ-একের পর এক ঘটনাক্রম। আর আজ, শনিবার সেই মামলার রায় ঘোষণা হল। গতকাল, শুক্রবারই জানা গিয়েছিল, শিয়ালদহ আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস শনিবার দুপুর ২টো ৩০ মিনিট নাগাদ রায় ঘোষণা করবেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শনিবার দুপুরে রাজ্যবাসীর নজর থাকবে শিয়ালদহ আদালতের দিকেই। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় কি দোষী সাব্যস্ত হবে? ফাঁসির নির্দেশ দেবেন বিচারক? গতকাল থেকেই এসব প্রশ্নে জোর চর্চা শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।
এই আবহে রায়দান পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে এদিন আদালত চত্বরের নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখেনি পুলিস। শুক্রবারই তারা শিয়ালদহ কোর্টের লকআপ সহ গোটা চত্বর খুঁটিয়ে দেখে। আদলতের বাইরে বড় জমায়েত হতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে মোতায়েন ছিল বিশাল বাহিনী। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাখা হয়নি।
মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর তদন্ত নেমে কলকাতা পুলিসই গ্রেপ্তার করে সিভিক ভালন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। পরে হাইকোটের নির্দেশে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেশ করা হয় চার্জশিট। শিয়ালদহ কোর্টের রুদ্ধ এজলাসে চলে শুনানি। সাক্ষ্য দেন মোট ৫০জন। সিবিআইয়ের কৌঁসুলি পার্থসারথি দত্ত ধৃতের সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানান আদালতে। সঞ্জয়ের তরফে লিগ্যাল এইড থেকে নিযুক্ত কবিতা সরকার তদন্তে গাফিলতির কিছু বিষয় তুলে ধরেন। সওয়াল শেষ হয় গত ৯ জানুয়ারি। তারপরই বিচারক রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।