আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
অ্যাকাডেমি মূলত দেশের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একমাত্র নিয়ামক সংস্থা। প্রতিটি রাজ্যের চিকিৎসক মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি সদস্য সংখ্যা। প্রতিবছর বার্ষিক কনফারেন্সের আয়োজন ককে সংস্থাটি। সেখানে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট, সেরা রিসার্চ পেপার, সামাজিক দায়িত্ববোধ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে শিশু চিকিৎকদের পুরস্কৃত করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে পাঁচ দিন ধরে হায়দরাবাদে হয়েছে কনফারেন্স। ন্যাশনাল সোশ্যাল চ্যাম্পিয়ন বিভাগে বিভিন্ন রাজ্যের অন্যান্য শিশু চিকিৎসকদের সঙ্গে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, শিশুদের সঠিক চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের ওপর পারিবারিক চাপ কমানো, বাবা-মায়েরা যাতে শিশুদের মারধর থেকে বিরত থাকেন সেজন্য তাঁদের বোঝানো ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করতে হয় শিশু চিকিৎসকদের। সে হিসেবে তাঁরা কতটা দায়িত্ব পালন করেছেন, সেটাই খতিয়ে দেখা হয় এই বিভাগে। তারপর বিবেচনা করে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেই পুরস্কারই পেয়েছেন সুজয়বাবু।
হাওড়া পুরসভার প্রশাসকের কাজ সামলে শিশু চিকিৎসক হিসেবেও নিয়মিত দায়িত্ব পালন করতে হয় সুজয়বাবুকে। বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য কম খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা, শিশু হাসপাতাল তৈরির কাজ করেছেন। পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে শিশুদের ওপর পরিবারের মারধর বন্ধ করার বিষয়টি নিয়েও সচেতনতা প্রচারের কাজ করছেন। কোভিড ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় বাচ্চাদের বিনা পয়সার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। সে কারণেই পুরস্কার পেলেন। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির পর সুজয়বাবু বলেছেন, ‘একজন শিশু চিকিৎসক হিসেবে শুধু চিকিৎসা করাটাই আমাদের কাজ নয়। শিশুদের জন্য সামাজিক ক্ষেত্রেও আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। জাতীয় মঞ্চে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি গর্বিত।’