আজ কর্ম ভাগ্য অনুকূল। অর্থাগমের ক্ষেত্র বাড়বে। গবেষকদের পক্ষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও স্বীকৃতি লাভের সম্ভাবনা। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া বাংলাদেশিদের জাল নথি সাপ্লাই করত সমীর। যাতে তারা নিজেদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে পারে। এই অভিযোগে বারাসতের নবপল্লি থেকে সমীর দাসকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস। এরপর এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় কৌশিক মণ্ডল ও চন্দন চক্রবর্তীকে। পুলিস জানিয়েছে, সমীর ও দিবাকরের বাড়ি ছিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এলাকায়। তারা পূর্ব পরিচিত। দিবাকর ভারতে আসে ১৯৮৬ সালে। তার বহু পরিচিত ও আত্মীয় রয়েছে বাংলাদেশে। সমীরের সঙ্গেও বাংলাদেশের লোকজনের ভালো যোগ রয়েছে। দিবাকর থাকত অশোকনগরে। ল’ক্লার্কের লাইসেন্স রয়েছে তার। সে বারাসত আদালতে কাজ করত বলে জানতে পেরেছে পুলিস। বৃহস্পতিবার রাতে রহড়ার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। কীভাবে চলত এই চক্র? তদন্তকারীদের দাবি, চিকিৎসার জন্য যে বাংলাদেশিরা এদেশে আসেন, তাঁরাই মূলত সমীর ও দিবাকরের ‘ক্লায়েন্ট’। এছাড়াও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উপর নজর রাখত তারা। ওই বাংলাদেশিদের এদেশে থাকার ব্যবস্থা করে দিত সমীর। সেই জন্য সমীর ওই বাংলাদেশিদের জাল নথি, ভুয়ো ঠিকানা দিয়ে প্রথমে ভারতীয় আধার কার্ড তৈরি করত। সেইজন্য পাঠানো হতো কৌশিকের সাইবার কাফেতে। বাংলাদেশিদের ভারতীয় ভোটার ও প্যান কার্ডের জন্য একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা প্রয়োজন। সমীর তার আত্মীয়ের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করে তা ল’ক্লার্ক দিবাকরের কাছে পাঠাত। এরপর বারাসত আদালতে সহজেই এফিট-ডেফিট করিয়ে দিত দিবাকর। এছাড়া, দিবাকর নিজেও জাল নথি ব্যবহার করে বাংলাদেশিদের ভারতীয় ভোটার, প্যান কার্ড বানিয়ে দিত। বারাসত আদালতে তোলার সময় দিবাকর বললেন, আমাকে ভোটার কার্ড তৈরি করে দিতে বলেছিল সমীর। কিন্তু আমি তা করিনি। তাও কেন পুলিস গ্রেপ্তার করল জানি না।