একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
দীর্ঘদিন কাজ চলার পর অবশেষে ফুলিয়ায় অবস্থিত আইআইএইচটি নতুন ক্যাম্পাস পাচ্ছে। যা ভারতবর্ষের মাত্র ছ’টি এধরনের ইনস্টিটিউটের মধ্যে অন্যতম। শনিবার সেই ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করতেই এসেছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী। মঞ্চে উঠে খানিক ভাঙা বাংলায় বক্তব্য শুরু করে ফুলিয়ার সঙ্গে আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর দাবি, তিনদিন ধরে তিনি এরাজ্যে থাকলেও, রাজ্য সরকারের তরফে কেউ এখানকার বস্ত্রশিল্পের উন্নয়ন নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেনি।
বাংলার তাঁতশিল্পের দুরবস্থার জন্য তিনি সিপিএম ও তৃণমূল-উভয়কেই দায়ী করেন। কেন্দ্রের কিছু পদক্ষেপের কথা বলে তিনি জানান, এখন কৃত্রিম পদ্ধতিতে ২০ দিনের বদলে মাত্র সাতদিন পাট জাঁক দিয়েই আঁশ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। আগামী দিনে প্রতি হেক্টর জমিতে তিন-চার লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন বস্ত্রশিল্পের কাঁচামালের সঙ্গে যুক্ত চাষিরা। লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে মন্ত্রীর দাবি, টেক্সটাইলে ১৭৬ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়নে পৌঁছে যাবে। যার ফলে ছ’কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
এরপরই তাঁতশিল্পের প্রসঙ্গ ছেড়ে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে ভারত-পাকিস্তান তুলনা শুরু করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, যুদ্ধ শুরুর সময় ভারতীয়দের সঙ্গে পাকিস্তানি ছাত্ররাও ইউক্রেনে পড়াশোনা করতেন। সেসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায় যুদ্ধবিরতি হয়। যাতে ভারতীয় পড়ুয়ারা দেশের পতাকা নিয়ে ফিরে আসতে পারেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাদের পড়ুয়াদের খোঁজ নেননি। তাই সেসময় পাকিস্তানি পড়ুয়ারা ভারতীয় পতাকা নিয়ে বিপদ কাটিয়ে বেরিয়ে আসেন। এদিন মন্ত্রীর বক্তব্যের বড় অংশজুড়েই ছিল এরকম ‘মোদিবন্দনা’। এরপর রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীরা কলকাতা পৌঁছলেই হাতে হাতে আধার কার্ড পেয়ে যাচ্ছে। আর তৃণমূল সরকার বিএসএফকে দোষারোপ করছে। মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তাঁর মন্তব্য, যদি দিদি অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধেই হন, তাহলে এনআরসি, সিএএ করতে দিন। কিন্তু এতকিছুর মাঝে ধুঁকতে থাকা তাঁতশিল্পের প্রাপ্তি কী? সে প্রশ্নের উত্তর পেলেন না সমস্যার সঙ্গে যুঝতে থাকা তাঁতশিল্পীরা।