একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
রাজ্য পুলিস সূত্রের খবর, চোপড়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ট্যাবকাণ্ডের জাল বিছিয়ে রয়েছে। মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও রাজস্থানের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ভবানী ভবন জানিয়েছে, কলকাতা বাদে রাজ্য পুলিস এলাকায় প্রতারিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৯১১ জন। এখনও পর্যন্ত মোট ১২০টি মামলা রুজু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ জনকে। তদন্ত জারি রেখেছে পুলিস। সূত্রের দাবি, ভিন রাজ্যের একাধিক জায়গায় টিম পাঠানো হয়েছে। এই প্রতারণার নেপথ্যে সংগঠিত সাইবার গ্যাং বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। শনিবার মালদহ জেলা পুলিসের সাইবার ক্রাইম থানা নতুন করে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতের নাম সেরাজুল মিঞাঁ। মালদহের বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার বাসিন্দা সে। গাজোলের বি ডি কেয়ার হাইস্কুলের পড়ুয়াদের ট্যাবের টাকা তার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। ভবানী ভবন সূত্রে খবর, বেশ কিছু তথ্য বদলানো হয়েছে মোবাইল ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, কলকাতা পুলিসের দাবি, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে ট্যাবকাণ্ডে প্রতারিতের সংখ্যা একই রয়েছে। নতুন করে কোনও স্কুল অভিযোগ করেনি। সরশুনার কেসে এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, সরশুনা থানা এলাকার একটি কেসের তদন্তে দেখা গিয়েছে, চোপড়া ছাড়া ভিন রাজ্যের যোগ মিলেছে এই ট্যাবকাণ্ডে। দিল্লি ও লখনউয়ের দু’টি অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা জমা পড়েছে। সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য তালাশ করছে লালবাজার। ট্যাবকাণ্ডে এই প্রথম শহরের প্রতারণাগুলির মধ্যে ভিন রাজ্যের যোগ মিলল। এই দু’টি অ্যাকাউন্ট যাদের নামে, তাদের সঙ্গে চোপড়ার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত ট্যাবের টাকা জমা পড়া ৪৯টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে লালবাজার।