একাধিক সূত্র থেকে আয় বৃদ্ধি ও সঞ্চয় যোগ। নতুন আয়ের দিশাও পেতে পারেন। খেলাধুলায় উন্নতি। ... বিশদ
ঘোর দুর্দিনেও যে ক’টি এলাকা বঙ্গ বিজেপিকে অক্সিজেন জুগিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম বনগাঁ। ২০১৯-এর লোকসভা এবং ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে এই এলাকায় বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক অটুট ছিল। বিধানসভা নির্বাচনে প্রবল মমতা-ঝড়ের মধ্যেও বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভার ছ’টিতেই জয়ী হয় বিজেপি। গত লোকসভায়ও রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের জয়জয়কারের মধ্যে মতুয়াগড়ে মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হন শান্তনু ঠাকুর। তার কয়েকমাসের মধ্যে সেই এলাকাতেই দলের এমন ‘করুণ অবস্থা’ কেন? তৃণমূলের দাবি, ভোট এলেই মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ‘টোপ’ দেয় বিজেপি। প্রতিশ্রুতির ঝুড়ি উপুড় করে দেন নেতারা। ভোট মিটলেই সব চুপচাপ। মানুষকে এভাবে বারবার প্রতারিত করার ফল ভুগছে বিজেপি। তাছাড়া, এলাকায় দলের আদি ও নব্য গোষ্ঠীর লাগামহীন কোন্দলও একটি কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জেলা সভাপতি তথা সাংসদ শান্তনুবাবুর সঙ্গে দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও বিধায়কদের বড় অংশের বিরোধ সর্বজনবিদিত। তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেনে নিতে পারেননি বর্তমান কর্মীরাই। তাহলে নতুন আর কে আসবে! বিজেপি সূত্রের খবর, বনগাঁয় সদস্য সংগ্রহে গতি বাড়াতে রাজ্য নেতৃত্ব ক্রমশ চাপ বৃদ্ধি করছে। কিন্তু ফলাফল দেখে যারপরনাই রুষ্ট তাঁরা। তবে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘আগের মতোই চলছে সদস্যতা অভিযান। নিয়মে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে সময় একটু বেশি লাগছে। ১৭ নভেম্বরের মধ্যে আমরা টার্গেট পূরণ করে ফেলব।’ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর বলেন, ‘মানুষ ওদের ভাঁওতাবাজির রাজনীতি ধরে ফেলেছে। তারই খেসারত দিতে হচ্ছে ওদের। আগামী দিনে ওদের অবস্থা আরও খারাপ হবে।’
পদ্মপার্টির নেতাদের কথায় ভরসা করে আম জনতা ঢেলে সমর্থন করেছিল তাদের। এই আবহে ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান। দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার অধীনে রয়েছে ৩০টি মণ্ডল। প্রতি মণ্ডল থেকে ১০ হাজার ৫০০ জন করে সদস্য সংগ্রহের ‘টার্গেট’ দেওয়া হয়েছিল। সেই জায়গায় ১০ নভেম্বরের পরিসংখ্যান বলছে, জেলায় সদস্য হয়েছেন মোট ২৫ হাজার।