অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে পাওয়ার কথা রাজ্যের মোট ১৬ লক্ষ পড়ুয়ার। কিন্তু জেলায় জেলায় বহু ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে সেই অনুদান। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তে তৈরি হয়েছে বিশেষ টিম। রাজ্য পুলিসের এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার এদিন জানিয়েছেন, যৌথ মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। সেই টিমে রয়েছেন এডিজি সিআইডি ২ বিশাল গর্গ, এডিজি সাইবার হরিকিষণ কুসমাকার সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সমস্ত পুলিস জেলার এসপি ও কমিশনারেটের কমিশনাররাও রয়েছেন। ট্যাব কাণ্ডে বাংলাজুড়ে এখনও পর্যন্ত ৯৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তার ১১ জন। আগামী দিনে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে, তাই এবার থেকে শিক্ষাদপ্তরকে এই সংক্রান্ত ব্যাপারে সাহায্য করবে রাজ্য পুলিসের সিআইডি ও সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
পুলিস জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও রাজস্থানে সাইবার প্রতারণার সঙ্গে জড়িত গ্যাংই আত্মসাত্ করেছে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা। সেই রাজ্যের পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই কাণ্ডের একটি হাব মালদহের চোপড়া। সূত্রের খবর, ট্যাব কেনার টাকা বেআইনিভাবে ঢুকেছে এমন প্রায় ১০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। ধৃতদের মোবাইল ফোন থেকে কথোপকথন, অনলাইন লেনদেন দেখেই ভিনরাজ্যের যোগসূত্র পেয়েছে পুলিস। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওয়ালেটে জমা পড়েছে সেই অর্থ। নগদও তোলা হয়েছে এটিএম থেকে। তা কার কাছে গিয়েছে? সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখছে পুলিস।
পূর্ব মেদিনীপুরের ট্যাব কাণ্ডে আরও দু’জনকে এদিন গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে মালদহের বৈষ্ণনগরের বাসিন্দা সুব্রত বসাক ও উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার নূর আলম। সুব্রত বৈষ্ণবনগরে একটি ব্যাঙ্কের সিএসপি (কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট) চালাত। তাকে তমলুক সিজেএম কোর্টে তোলা হলে বিচারক ১১ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। নূর আলমকে আজ, শনিবার ইসলামপুর আদালতে তোলা হবে। সেখান থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে তমলুক থানায় নিয়ে আসবে পুলিস। পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ২৩০ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা জালিয়াতি হয়েছে বলে খবর। অধিকাংশ অর্থই গিয়েছে মালদহের বৈষ্ণবনগরের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, সিএসপি এজেন্ট সুব্রত সেগুলি ভাড়া দিয়েছিল। বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট পিছু কমিশন নিয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির তালিকা দেওয়ার পরও তারা নাগাড়ে হাতড়ে চলেছে। কারণ, অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে ব্যাঙ্কের আইএফএস কোডের মিল নেই। তাই সেগুলি ‘ফ্রিজ’ করতে গিয়েও সমস্যা হচ্ছে।
চোপড়া থেকে ধৃত তিনজনকে জেরা করে সুব্রতর অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়ার কাহিনি জানতে পারে পুলিস। এরপরই কোলাঘাট থানার টিম রওনা দেয় বৈষ্ণবনগরের উদ্দেশে। চোপড়ায় ধৃত মোবারক হোসেন, সাদ্দিক হোসেন এবং আসারুল হোসেনদের সঙ্গে নূর আলমও ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত বলে তথ্য পেয়েছে পুলিস।