অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ। ... বিশদ
মুম্বইয়ের বাসিন্দা বনি আমিন রাজ নভেম্বরের গোড়ায় সপরিবারে এসেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির বাড়িতে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে শালিমার স্টেশন থেকে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসে চেপে মুম্বইয়ে ফেরার কথা ছিল তাঁদের। সেইমতো গাড়ি ভাড়া করে রাত ৮টা নাগাদ শালিমার স্টেশনের সামনে পার্কিং এরিয়ায় আসেন পরিবারের ছয় সদস্য। অভিযোগ, জিনিসপত্র গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁরা স্টেশনের দিকে এগতেই কয়েকজন যুবক আচমকা এসে গাড়ি আটকে টাকা দাবি করতে শুরু করে। তাদের থামাতে গেলে বনি সাহেবের সঙ্গে তাদের বচসা হয়। এরপরেই লোহার রড, বাঁশ, লাঠি নিয়ে ছুটে আসে জনা পনেরো দুষ্কৃতী। বনি সাহেবের মাথায় ও পায়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। মাথা ফেটে সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর দুই ছেলেও। কেড়ে নেওয়া হয় টাকার ব্যাগ ও সোনার চেন। আক্রান্তের জামাই সুরজ গাজি বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনে আমরা ছুটে আসি। শ্বশুরমশাইকে দক্ষিণ হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাই। তাঁর মাথায় ৬টি সেলাই পড়েছে। তবে পরিবারের বাকিদের ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্তের পরিবার। এই ঘটনায় সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতদের এদিন হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতরা হল, মুকেশ যাদব, মিন্টু যাদব, রজনীশ কুমার, মহম্মদ খুরশিদ, বিট্টু সাউ, আশিসকুমার পাশোয়ান ও বিশাল সাউ। পুলিস জানিয়েছে, শালিমার স্টেশনের পার্কিং এরিয়ার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থার কর্মী মুকেশ। মূলত তার নেতৃত্বেই ওই দলটি আক্রমণ চালায়। প্রসঙ্গত, এই বছরের জুন মাসে এই পার্কিং এরিয়ায় তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। চলতি মাসে ফের অন্য একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্টেশনের বাইরে দুষ্কৃতীদের দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বারবার এই ঘটনায় স্টেশনের সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। তাঁদের অনেকেই বলছেন, ‘সন্ধ্যার পর ট্রেনের টাইম থাকলে শালিমার স্টেশনে যেতে ভয় করে। এখানে যাত্রীদের কোনও নিরাপত্তা নেই।’ ট্যাক্সি চালকদের একাংশের কথায়, ‘শিয়ালদহ বা কলকাতা স্টেশন থেকে কোনও যাত্রী শালিমারে যেতে চাইলে পার্কিংয়ের জন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হতে পারে বলে আগেভাগেই আমরা বলে রাখি।’ হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা বলেন, ‘এর আগেও রেলের সঙ্গে বৈঠকে পার্কিং এরিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থা পার্কিংয়ের দায়িত্ব রয়েছে।’