বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ

সংসারের বাঁধন ভেঙে পিণ্ডদান, প্রয়াগের পুণ্যতটে জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজছেন সন্ন্যাসী

সুদীপ্ত রায়চৌধুরী, প্রয়াগরাজ: সেক্টর ১৯। এখানেই রয়েছে নাগা সন্ন্যাসীদের সবচেয়ে বড় আখড়া... জুনা আখড়া। দুই পুল ব্রিজের নীচে বিরাট এলাকাজুড়ে নাগা ‘ছত্রচ্ছায়া’তেই সবচেয়ে বেশি ভিড় ভক্তদের। টোটো, গাড়ির হর্ন বেমালুম অবজ্ঞা করে, রাস্তা টপকে নাগা বাবাদের ময়ূর পালকের চামরের আশীর্বাদ নিতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি। দ্বিতীয় পুল ব্রিজের ডানপাশের আখড়ায় বসে সেসব দেখছিলেন এক সন্ন্যাসী। মৃদু হাসি মুখে। গায়ে বাঘছাল প্রিন্টের কম্বল। সদ্য কামানো মাথায় জড়ানো গেরুয়া পাগড়ি। নাগা সন্ন্যাসীদের তো চুল কাটারই নিয়ম নেই। আর ইনি তো পুরো ন্যাড়া! হাসলেন সোমগিরি মহারাজ। পাগড়িতে হাত বুলিয়ে বললেন, ‘৯ তারিখে সংস্কার হয়েছে। সেই জন্য...।’ সংস্কার? অর্থাৎ সংসার জীবনে ইতি টেনে নিজের পিণ্ড দান করা। তার সঙ্গেই ছিন্ন হয় সংসারের যাবতীয় মোহ মায়া। 
অমৃতকুম্ভের টান বড় বিচিত্র। এই বিপুল চত্বরে প্রবেশ মাত্রই জাত, বর্ণ, সম্পদ ফ্যাকাশে রং ধরে। কেউ আসে প্রিয়জনকে হারানোর একবুক যন্ত্রণা নিয়ে, কেউ সন্তানের আশা, কেউ মুক্তিলাভ। সব পথই কিন্তু গিয়ে মিলে যায় এক অনন্য প্রাপ্তির গন্তব্যে—বিশ্বাস। রুক্ষ পথও তখন যে আর কঠিন মনে হয় না। ‘গুরু পেয়ে গিয়েছি। ব্যস, সব অপেক্ষা শেষ।’ কীসের অপেক্ষা? ‘জীবনের সারসত্য জানার। ঈশ্বরকে জানার, উপলব্ধির। ছেলেবেলা থেকেই ভিতরটা আনচান করে উঠত... অদ্ভুত একটা টান অনুভব করতাম। কিন্তু বুঝিনি, সেটা কী। সংসারে থেকেও সব সময় একটা অস্থিরতা তাড়া করত। তারপর একদিন  শ্রী পঞ্চ দশনাম জুনা আখড়ার গুরু রামগিরি মহারাজের দেখা পেলাম। মনে হল, জীবনের যে উদ্দেশ্যের খোঁজে এতদিন হাতড়ে বেড়িয়েছি, সেই পথ এবার দেখতে পাব। ৮ তারিখে কুম্ভে এলাম। ৯ তারিখ সকালে সংস্কার হল। নিজের হাতে পিণ্ডদান করলাম সঙ্গম তীরে বসে।’ উদ্দেশ্য খুঁজে পেলেন? হাসলেন সোমগিরি মহারাজ—‘পথ চলার এই তো শুরু। খোঁজেরও। এই যে কুম্ভে এত সাধু সন্ন্যাসী আসছেন, কেন? জীবনের এই পথ খুঁজতেই তো! সন্ত মিলন কো জাইয়ে ত্যাজি মোহ মায়া অভিমান/জো জো পা আগে ধারে, কোটি যুগ সমান। কী বুঝলেন?’
গুরু মিলনের টান। আর সেই টানেই হাজার বাধা বিপত্তি উড়িয়ে প্রয়াগরাজে ছুটে এসেছেন ঢাকার বাসিন্দা সপ্তসিন্ধু গঙ্গোপাধ্যায় (নাম পরিবর্তিত)। ওদেশে এই অবস্থা! এলেন কীভাবে? বললেন, ‘আমি নির্মোহী আখড়ার ভক্ত। অনেক দিন ধরেই ঠিক করেছিলাম, একবার অন্তত প্রয়াগে আসব। তারপর আমাদের ওখানে যা অবস্থা হল, ভাবলাম... আর বোধহয় পূর্ণকুম্ভে আসা হবে না। কিন্তু গুরুর টান দেখুন, ২৯ ডিসেম্বর মেডিক্যাল ভিসার আবেদন করলাম। ৮ তারিখ ভিসা পেলাম হাতে। ৯ তারিখ সকালেই কলকাতায় এসে আজমির এক্সপ্রেস ধরে সোজা এই পুণ্যতটে।’ ক্লান্ত লাগছে না? ‘ট্রেনে আসার সময় লাগছিল। আজ সকালে গঙ্গায় ডুব দিলাম। সব ক্লান্তি ধুয়েমুছে সাফ। মনে হল, ভাগ্যিস গুরু টেনেছিলেন।’ 
সপ্তসিন্ধুর চোখে তৃপ্তি। ঠিক সোমগিরি মহারাজের চোখে যা ছিল। এই তৃপ্তি বিশ্বাসের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের। নিজেকে খুঁজে পাওয়ার। 
1d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সন্তানের তীক্ষ্ণ বাক্য ও উদ্ধত আচরণে মনঃকষ্টের যোগ। কর্ম নিয়ে জটিলতার অবসান। অর্থকড়ি দিক অনুকূল।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.০৬ টাকা৮৬.৮০ টাকা
পাউন্ড১০৩.৮৯ টাকা১০৭.৫৮ টাকা
ইউরো৮৬.৮৫ টাকা৯০.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
11th     January,   2025
দিন পঞ্জিকা