দেশ

রেলের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে পিএমও!

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: রেলমন্ত্রকের ক্ষমতা ও অধিকার ক্রমেই কুক্ষিগত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হাতে। একের পর এক সিদ্ধান্ত এবং আইন সংশোধন করে ধীরে ধীরে রেলের স্বাধীন অস্তিত্ব ক্রমে ধুলিসাৎ করা হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বিগ ফোর’ মন্ত্রকের অন্তর্গত না হয়েও একদা যেটি ছিল সর্বোচ্চ গুরুত্বের তালিকায়, সেই রেলমন্ত্রকের সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়ার সিংহভাগই চলে যাচ্ছে পিএমও-র হাতে। 
ভারত সরকারে নির্দেশিকা অনুযায়ী চলার কথা রেল বোর্ডের। বাস্তবে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সবুজ সঙ্কেতের উপর নির্ভর করবে তাদের বৃহৎ যে কোনও সিদ্ধান্ত। রেল মন্ত্রককে পরোক্ষে পিএমওর অধীনে নিয়ে আসা হচ্ছে। সম্প্রতি রেলওয়ে সংশোধনী বিল ২০২৪  পাশ হয়েছে। নয়া আইনে রেল বোর্ডকে কিছু অতিরিক্ত অধিকার দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই অধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা এককভাবে কিন্তু থাকবে না রেল বোর্ডের। এভাবে রেলমন্ত্রকের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে বিরোধীরা দাবি করেছে।
রেলমন্ত্রকের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী রেলবোর্ড। রেলবোর্ডের সদস্যরাই প্রকৃতপক্ষে রেলমন্ত্রকের চালিকাশক্তি এবং নীতি নির্ধারক। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে সেই প্রবণতায় ভাটা পড়ে। রেল মন্ত্রক সরকারের অধীনস্থ একটি মন্ত্রক হলেও সরাসরি সরকারের প্রভাব, এমনকী প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপও ছিল না। সেই কারণে যখনই অতীতের রেলমন্ত্রীরা অবাধে নিজেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাজেট তৈরি করেছেন এবং সেই বাজেট পেশ করেছেন। ২০১৪ সালের পর রেল বাজেট বিষয়টিই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে অর্থমন্ত্রী যে বাজেট পেশ করেন, সেই বাজেটেই সামান্য স্থান দেওয়া হয় রেলবাজেটকে। মোদি সরকার স্থির করেছিল রেলমন্ত্রককে আরও স্বশাসন দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে তৈরি করা হবে একটি নিয়ন্ত্রক কমিটি। রেলবোর্ডের  ধাঁচেই ওই রেগুলেটরি বডি নির্মাণ করা হবে। কিন্তু ক্রমেই তার বিপরীত পথে হেঁটে উল্টে এখন রেলের হাতে প্রায় কোনও নীতি নির্ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রাখা হচ্ছে না। এই আবহেই বাজেট প্রস্তুতিতেও রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে কোনও বৃহৎ প্রকল্প প্রস্তাব নিয়ে আগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সবুজ সংকেত প্রয়োজন। অর্থাৎ সরাসরি বাজেট প্রস্তাবের জন্য অর্থমন্ত্রকে সব মন্ত্রক যেভাবে নিজেদের বিভাগের কোনও প্রকল্প কিংবা সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠায়, সেই ধাঁচে রেলমন্ত্রক বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতে পারবে না।
সরকারি সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্তের পিছনে রেলের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। আদতে রেলের বকেয়া প্রকল্পের বিপুল বোঝার জেরেই এই সিদ্ধান্ত। সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে, রেলকে বলা হয়েছে আগে পুরনো প্রকল্প সম্পন্ন করতে হবে।  তার আগে কোনও নতুন বড়সড় প্রকল্প নেওয়া যাবে না। প্রকল্প সংক্রান্ত রিভিউ কমিটি আগে দেখবে কোন প্রকল্প জরুরি। তারপরই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হবে।  যদিও আদতে রেলমন্ত্রকে এখন নিছক ট্রেন চালাবে এবং পরিকাঠামো সংরক্ষণ ও উন্নয়নেই দায়িত্ব শেষ। কারণ সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

আজ ব্যবসার গতি বৃদ্ধি পাবে। কর্মক্ষেত্রে কোনও সুখবর পেতে পারেন। সুগার ও প্রেশার-এর অসমতায় কষ্ট...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.০৪ টাকা৮৫.৭৮ টাকা
পাউন্ড১০৫.৬৫ টাকা১০৯.৪০ টাকা
ইউরো৮৭.১৬ টাকা৯০.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
14th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা