রাজ্য

একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এক টাকাও কর আদায় করতে পারেনি, বার্ষিক রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য

প্রীতেশ বসু, কলকাতা: রাজ্যের ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকার ন্যায্য প্রাপ্য আটকে রেখেছে কেন্দ্র। কয়েক বছর ধরে দেওয়া হচ্ছে না ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা। ধারাবাহিক কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও উন্নয়নের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজেদের কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। ফলে চাপ বাড়ছে রাজ্যের কোষাগারের উপর। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত কর আদায়ের ব্যাপারে উদাসীন। এক্ষেত্রে ২৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত ডাহা ফেল করেছে। এই পঞ্চায়েতগুলির সম্পত্তি কর আদায়ের অঙ্ক ‘শূন্য’! রাজ্যের তরফে পঞ্চায়েতগুলিকে নিজস্ব আয় বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এই পঞ্চায়েতগুলি সারা বছরে একটি টাকাও আদায় করতে পারেনি। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির বার্ষিক কাজের মূল্যায়ন রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। 
বিভিন্ন জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কাজের বার্ষিক মূল্যায়ন বা অ্যানুয়াল পারফরমেন্স রিপোর্ট। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক টাকাও কর আদায় না করতে পারা পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে ২৩টিই রয়েছে পুরুলিয়া জেলায়। ঘাগড়া, গুনিয়ারা, বাগদা, দুরকু, মানারা, সানতুরি, বুড়িবান্ধের মতো গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি রয়েছে এই তালিকায়। এছাড়া, ঝাড়গ্রাম, কোচবিহার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পঞ্চায়েতের নাম রয়েছে তালিকায়। যেমন, ঝাড়গ্রামের আমারদা এবং সরিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার ব্লকের অঞ্চনা, কোচবিহারের বলরামপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত। সূত্রের খবর, কেন কোনও কর আদায় হল না, রাজ্যের তরফে পঞ্চায়েতগুলির কাছে তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ পঞ্চায়েতই ‘রাজনৈতিক কারণ’-এই কর আদায় সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে। তাই তড়িঘড়ি সমস্যা কাটিয়ে এসব এলাকায়ও কর আদায় সুনিশ্চিত করতে রাজ্যস্তরের আধিকারিকদের প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। কর আদায়ে সফল হলেও বিগত অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৩-২৪-এ নিজস্ব আয় ০.৫ শতাশের বেশি বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে রজ্যের ৩৫১টি গ্রাম পঞ্চায়েত। বাদবাকি পঞ্চয়েতগুলি বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আগের বছরের তুলনায় নিজস্ব আয় প্রায় ১০ শতাংশ করে বৃদ্ধি করতে পেরেছে। 
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ঠিক করে দেওয়া মাপকাঠি অনুযায়ী কাজ করলে পঞ্চয়েতগুলিকে বিশেষ অনুদান দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ৫৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিগত তিন বছর ধরে সেই মাপকাঠি ছুঁতে পারেনি বলে উঠে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতবারের তুলনায় পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অর্থ কমিশন, রাজ্য অর্থ কমিশন সহ নানা খাতে পাওয়া টাকার ৬০ শতাংশ খরচ করতে পারেনি ৫৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘নিজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তার ফলও পাচ্ছে পঞ্চায়েতগুলি। ব্যর্থ পঞ্চায়েতগুলির দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে।’    
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

আজ ব্যবসার গতি বৃদ্ধি পাবে। কর্মক্ষেত্রে কোনও সুখবর পেতে পারেন। সুগার ও প্রেশার-এর অসমতায় কষ্ট...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.০৪ টাকা৮৫.৭৮ টাকা
পাউন্ড১০৫.৬৫ টাকা১০৯.৪০ টাকা
ইউরো৮৭.১৬ টাকা৯০.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
14th     December,   2024
দিন পঞ্জিকা