নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: লো কসভা নির্বাচনে বিজেপি সন্তোষজনক ফল করতে পারেনি এই রাজ্যে। তাই হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের আগে আরও কড়াভাবে ‘এক্সপোজ বিজেপি’ এবং ‘পানিশ বিজেপি’র স্লোগান তুলেছিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। একই কৌশল মেনে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি কিংবা কার্যালয় ঘেরাও করার সূচিও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হতে দেখা গেল, সবকিছু সামলে ওই রাজ্যে বাজিমাত করে দিয়েছে বিজেপি। এক্সপোজ বিজেপি, পানিশ বিজেপির স্লোগান কি তাহলে আমজনতার মধ্যে কোনওরকম প্রভাবই ফেলেনি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই এখন মরিয়া হয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। 
তবে শুধুই স্লোগান-কর্মসূচি নয়। দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে হরিয়ানার বেশ কয়েকটি সীমানা এলাকা আটকে রেখে সাধারণ মানুষকেও বিপাকে ফেলা হয়েছে, সেটিও ভাবাচ্ছে আন্দোলনকারীদের। এভাবে দিনের পর দিন সীমানা আটকে আন্দোলন কি আদতে ব্যুমেরাং হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেও মরিয়া হয়েছেন কৃষকরা। জানা যাচ্ছে, ফলাফলের বিশ্লেষণ করতে শীঘ্রই নিজের মধ্যে বৈঠকে বসতে চলেছে সর্বভারতীয় কিষান সংগঠনগুলি। সেক্ষেত্রে দীপাবলির পর থেকে অন্য কৌশল নিয়ে আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটা যায় কি না, তা নিয়েও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে সম্ভাব্য ওই বৈঠকে। 
অতীতে লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে কৃষক আন্দোলন প্রভাব ফেললেও বিধানসভা ভোটে তার আঁচ বিজেপির গায়ে লাগেনি। আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলির একাংশ অবশ্য দাবি করেছে, তারা কোনও রাজনৈতিক দল নয়। তাই নির্বাচনী ফলাফলের উপর তাদের আন্দোলনের গতির হ্রাস বৃদ্ধি কোনওটিই নির্ভর করবে না। বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের গরিব কৃষকদের যে কার্যত না খেয়ে মরতে হবে, তা নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচার চলবেই। পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলতে পারে।